ছাত্র কোটা সংস্কার আন্দোলনে ব্যাপক সহিংসতায় স্থবির হয়ে পড়ে গোটা দেশ। স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করতে এবং কারফিউ জারি করতে বাধ্য হয়। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে প্রথমে চার ঘণ্টার জন্য অফিস সময় নির্ধারণ করা হয়। তবে রোববার (২৮ জুলাই) থেকে এ সময় দুই ঘণ্টা বাড়ানো হয়েছে। নতুন সময়সূচি অনুযায়ী তিন দিন অফিস চলবে।
শনিবার (২৭ জুলাই) বিকেলে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানান, রোববার থেকে সরকারি-বেসরকারি সব অফিসের সময়সূচি সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত হবে।
আগামী মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) পর্যন্ত এই সময়সূচি চলবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এছাড়া ব্যাংক ও আদালত নিজেরা সময়সূচি নির্ধারণ করবে বলেও জানান তিনি।
কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সৃষ্ট পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ২০ জুলাই থেকে কারফিউ জারি করে সরকার। ২১ থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
কারফিউ শিথিল করার পর সরকারি-বেসরকারি অফিসও খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু অফিসের সময় কমে গেছে। গত সপ্তাহে, বুধবার ও বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চার ঘণ্টা অফিস খোলা ছিল।
জরুরি পরিষেবা যেমন বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস ও বন্দরগুলোর কার্যক্রম, পরিচ্ছন্নতা, টেলিফোন, ইন্টারনেট, ডাকসেবা এবং এ-সংশ্লিষ্ট কাজে নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মীরা নতুন সময়সূচির আওতার বাইরে থাকবেন বলে জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র।
এছাড়া হাসপাতাল ও জরুরি সেবা এবং এই সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মী, চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও কর্মী, ওষুধসহ চিকিৎসা সরঞ্জাম বহনকারী যানবাহন ও কর্মীরা এই সময়সূচির আওতার বাইরে থাকবেন।