মেয়র জাহাঙ্গীর আলম আলোচনার শীর্ষে থাকা এই নেতা আলোচনার শীর্ষে আছে কিছুদিন আগে আ.লীগ থেকে বহিষ্কারের মাধ্যমে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কটুক্তি করায় তাকে বহিষ্কার করা হয় দল থেকে। শুধু বহিষ্কারেই সমাধান নয়। তাই এবার উঠে এলো আরেকটি কড়া নিষেধাজ্ঞা তার উপর দল থেকে।
বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত এবং দুর্নীতির অভিযোগে গাজীপুর সিটি করপোরেশন থেকে বরখাস্ত হওয়া মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে দলীয় কোনো নেতাকর্মী সম্পর্ক বা যোগাযোগ রাখলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুশিয়ার করেছে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ।
রোববার (৫ ডিসেম্বর) রাতে বঙ্গতাজ অডিটরিয়ামে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটি ও উপদেষ্টামণ্ডলীর সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় গাজীপুর সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কৃত জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে দলীয় নেতাকর্মীদের যোগাযোগ ও সম্পর্ক বিষয়ে তদন্ত করার জন্য ১১ সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান হিসেবে রয়েছেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ওসমান আলী। ১১ সদস্যের তদন্ত কমিটিকে দুই ভাগে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সভা শেষে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউল্লাহ মণ্ডল গণমাধ্যমকে বলেন, সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, জাতির পিতাকে নিয়ে কটুক্তি করার কারণে আওয়ামী লীগ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কৃত জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে দলীয় কোনো নেতাকর্মীর কোনো ধরণের সম্পর্ক থাকতে পারবে না। আওয়ামী লীগের যে সকল নেতাকর্মী জাহাঙ্গীরের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করবে এবং সম্পর্ক রাখবে দল তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি বলেন, জাহাঙ্গীর আলমকে শোকজ করার পর বহিষ্কারের আগ পর্যন্ত দলীয় নেতাকর্মীদের কার কী ভূমিকা ছিল- সেটি নির্ধারণ করা হবে। অপরটি হল, বহিষ্কারের পর তার সাথে সংগঠনের কোনো নেতাকর্মীর যোগাযোগ আছে কিনা বা কার কী ভূমিকা ছিল সেটি তদন্ত করা। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর কারও বিরুদ্ধে সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেলে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খানের সভাপতিত্বে আ ক ম মোজাম্মেল হক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, সাবেক মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য শামসুন্নাহার, গাজীপুর সিটির ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরন।
এ যেন ঘরের ভিতরেই শত্রু। মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের ক্ষেত্রেও ব্যাতিক্রম কিছুই নয়। দলের ভিতর থেকে যেন কেও শত্রুতা না করতে পারে তার জন্যই এমন পদক্ষেপ। এর ফলে হয়ত ধরা পড়বে জাহাঙ্গীরের সাথে জড়িত বাকিরা। আর তাছাড়াও এই নিষেধের ফলে তার সাথে যদি যোগাযোগ বন্ধ থাকে সবার সে ক্ষেত্রে চাইলেও জাহাঙ্গীর আর দলের ক্ষতি করতে পারবেনা।