নিজেদের মধ্যে ক্রন্দল কখনই দলের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনতে পারে না। প্রত্যেকটি নেতা হলেন যথগেষ্ট জ্ঞানবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ। তারা যদি করে থাকে গর্হিত কাজ যা দলের ভাবমূর্তি ও সুনাম ক্ষুন্ন করে তাহলে তার থেকে লজ্জাকর আর কিছুই হতে পারে না। সম্প্রতি ঘটেছে ঠিক তেমনি একটি ঘটনা। কেন্দ্রীয় নেতার উপর হামলা করায় আজীবনের জন্য বহিষ্কার হলো কৃষকলীগ নেতাকে।
জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতার ওপর হামলার অভিযোগে সিলেটে এক কৃষকলীগ নেতাকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। আরেক নেতার সাংগঠনিক কার্যক্রম এক বছরের জন্য স্থগিত রয়েছে।
ওসমানীনগর উপজেলা কৃষক লীগের ( League ) সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ আবদুল হামিদকে ( Mohammad Abdul Hamid ) সংগঠন থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার এবং সাবেক আহ্বায়ক মোস্তাক আহমেদের ( Mostaq Ahmed ) সব সাংগঠনিক কার্যক্রম এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। শনিবার ( Saturday ) অনুষ্ঠিত জেলা কৃষক লীগের ( League ) কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় ওসমানীনগর উপজেলা কৃষকলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ আবদুল হামিদকে সংগঠন থেকে আজীবন বহিষ্কার এবং সাবেক আহ্বায়ক মোস্তাক আহমেদের সকল সাংগঠনিক কার্যক্রম এক বছরের জন্য স্থগিত করার সিদ্ধান্ত হয়।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি দেওয়ান জয়নাল আবেদিন ও জেলা সভাপতি শাহ নিজাম উদ্দিনসহ জেলা নেতৃবৃন্দের ওপর হামলা, মারধর ও লাঞ্ছনা ও ইন্দন জোগানোর অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
মতবিভেদ বা মনমালিন্য থাকতেই পারে নেতাকর্মীদের মাঝে। ঝামেলা না করে সব সমস্যার সমাধান করার অনেক উপায় রয়েছে। নেতাদের কাছে সাধারণ মানুষ সব সময় ভালো কিছু আশা করে কিন্তু তারাই যদি করে এমন কাজ তাহলে তার থেকে দুঃখজনক আর কি হতে পারে।