ওবায়দুল কাদের হলেন বাংলাদেশের একজন খুব সম্মানীয় ও ভালোবাসার একজন মানুষ। তিনি বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের একজন প্রখ্যাত রাজনীতিবীদ। ওবায়দুল কাদের হলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় সেতু ও সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী। এই সম্মানীয় পদে আসীন হবার পর তিনি সততা ও নিষ্ঠার সহিত দায়িত=ব পালন করে যাচ্ছেন। সম্প্রতি তিনি তার এক বক্তব্যে বলেছেন রাজপথ বিএনপির বাপ-দাদার সম্পত্তি নয়।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বলেছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আপনারা ফাঁকা মাঠে তাফালিং করবেন, আর আওয়ামী লীগ আঙুল চুষবে, তা ভাববেন না। তিনি বলেন, রাজপথ বিএনপির বাপ-দাদার সম্পত্তি নয়। রাজপথ জনগণের। মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর লালবাগের নবাবগঞ্জ পার্কে লালবাগ থানা ও ২৩, ২৪, ২৫ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলন হবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগের কর্মীরা সংযত হয়ে মাঠে সতর্ক অবস্থান নেবে। মাঠ ছাড়ব না, অবস্থান নিতে হবে।
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজপথে আন্দোলন করুন, শান্তিপূর্ণভাবে আসুন। রাস্তায় বসেই মোকাবিলা করা হবে। রাজপথেই খেলা হবে। লাফাবেন না, বাড়াবাড়ি করবেন না। ২২ দলীয় জোট গতবারও ছিল। সেই ২২ দলের অবস্থা জগা-খিচুড়ি, ছত্রভঙ্গ অবস্থা। এবারও ২২ দলীয় জোটের অবস্থান আষাঢ়ের তর্জন-গর্জন।
দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি, আমি বলেছি যে আদেশ ভাঙবে, , যারা ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে, শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার ক্ষতি করবে, যারা করবে। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করবে- শেখ হাসিনা তাদের রেহাই দেবেন না।
সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক ও কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, আইন বিষয়ক সম্পাদক নজিবুল্লাহ হিরু, কেন্দ্রীয় নেতা ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমদ মান্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ।
এতে সভাপতিত্ব করেন লালবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান।
প্রসঙ্গত, ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত=ব পালন করে যাচ্ছেন। ডলের প্রতি তার অপরিসীম শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা তাকে নিয়ে গেছে সাফল্যের চূড়ায়। তিনি দলকে সামনের দিকে এগিয়ে যাবার জন্য করে যাচ্ছেন অক্লান্ত পরিশ্রম। তার মত একজন মহান নেতা পাওয়া সত্যিই অনেক ভাগ্যের ব্যাপার।