বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’ আঘাত হানার অনেক আগেই ভারতে তাণ্ডব চালাতে শুরু করেছে। ঘূর্ণিঝড়টি মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে দেশের দক্ষিণ উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে।
তবে সকাল থেকেই অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরি উপকূলে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আর মিগজাউমের কারণে তামিলনাড়ুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ জনে।
কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে দক্ষিণ ভারতের বেশ কয়েকটি ট্রেন এবং ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
দেশটির গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের কারণে মঙ্গলবার সকাল থেকে অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু ও পুদুচেরির উপকূলে প্রবল ঝড় ও বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তবে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি চেন্নাই সহ তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলীয় এলাকায়।
মিগজাউমের কারণে তামিলনাড়ুতে মৃতের সংখ্যা ইতিমধ্যেই বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮।অন্ধ্রপ্রদেশের ৮টি জেলায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
ভারতের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, মিগজুম ধীরে ধীরে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দুপুর আড়াইটার দিকে অন্ধ্র উপকূল বাপটলার কাছে মিগজাউম ল্যান্ডফল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার হতে পারে বলে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম মোকাবেলায় ইতিমধ্যেই অন্ধ্রপ্রদেশ ও তামিলনাড়ুর উপকূলীয় এলাকায় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। নিচু এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। রাস্তাঘাট, বাড়িঘর পানিতে ভেসে যাচ্ছে, বিমানবন্দরও ভাসছে।
অন্ধ্রপ্রদেশের ৮টি জেলায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এই জেলাগুলি হল – তিরুপতি, নেলোর, প্রকাশম, বাপতলা, কৃষ্ণা, পশ্চিম গোদাবরী, কোনাসিমা এবং কাকিনারা।
এছাড়াও, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডি ঘূর্ণিঝড়-বিধ্বস্ত এলাকাগুলি পর্যবেক্ষণ এবং বিপর্যয় মোকাবেলায় বিশেষ কর্মকর্তা নিয়োগ করেছেন। তিনি আরও বলেন, রাজ্যে ৩০০ টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে।
অন্যদিকে, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন ঝড় কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। এনডিআরএফ, এসডিআরএফ নামিয়ে আনা হয়েছে।