বেশকিছুদিন আগেই নোয়াখালী সোনাইমুড়ী ( Noakhali Sonaimuri ) উপজেলায় মুঠো ফোনের মাধ্যমে আকলিমা আক্তার ( Aklima Akter ) রুমির (২৩) সঙ্গে পরিচয় হয় মো.সুমনের (২২)। এরপর প্রায় প্রতিদিনই ফোনে কথা হতে থাকে তাদের। আর সেই ধারাবাহিকতার মধ্যেদিয়ে হঠাৎই একদিন প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে সুমনকে ( Sumon ) আসতে বলেন রমি। কিন্তু তখনও সুমন জানতেন না তার সাথে কি হতে চলেছে। আর এরপরই প্রেমিকার কথা অনুযায়ি দেখা করতে গিয়েই বিপাকে পড়ে যান সুমন।
প্রেমের ফাঁদে ফেলে মোবাইলে ডেকে নিয়ে সুমনকে ( Sumon ) দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টার ঘটনায় পুলিশ ( police ) কথিত প্রেমিকাসহ ৪জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের শনিবার ( Saturday ) (৪ জুন) বিকেলে ( afternoon ) বিচারিক আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশ ও ভিকটিম জানায়, গত ১ মাস আগে সুমনের সঙ্গে রুমির মোবাইল ফোনে পরিচয় হয়।
শুক্রবার বিকেলে সুমনকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে সোনাইমুড়ী মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে আসতে বলেন রুমি। সুমন বিকেল ৫টার দিকে চৌমুহনী পৌরসভার করিমপুর এলাকার বন্ধু শাহজাহানের ছেলে মো. ইয়াসিনকে নিয়ে এলাকায় যান তিনি।
সেখানে গেলে শান্ত, রায়হান, মেহেদী হাসান ও তাদের বন্ধু আকলিমা আক্তার রুমিসহ তাদের সবাইকে আটক করে বেধড়ক মা/র/ধ/র করে।
এ সময় সুমন মাটিতে পড়ে গেলে সে তাকে হা/তু/ড়ি দিয়ে আঘাত করে এবং তার দুই পায়ে গুরু/তর জ/খ/ম/ করে। একপর্যায়ে সুমনকে শেষ করার চেষ্টাকালে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে ৩ সন্ত্রাসী ও প্রতারক প্রেমিক রুমিকে আটক করে।
খবর পেয়ে সোনাইমুড়ী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শান্ত, রায়হান, মেহেদী ও প্রতারক প্রেমিকা আকলিমা আক্তার রুমিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এদিকে সংবাদ মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করে সোনাইমুড়ী থানার ওসি হারুন অর রশিদ জানান, এ ঘটনায় সুমনের বড় ভাইয়ের দায়ের করা মামলার আলোকে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর আদালতের মাধ্যেমে তাদেরকে কারাগারে নেয়া হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেছেনন তিনি।