সম্প্রতি মিয়ানমারের আভ্যন্তরীন যু/দ্ধের কারনে তাদের ছোড়া গো/লাবারুদ বাংলাদেশের সীমানার ভিতরে পড়ছে। যার কারনে সীমান্তবর্তি এলাকার মানুষ আতঙ্কে ভুগছে ও অনেকে এলাকা ছেড়ে অন্য স্থানে আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে তাদের দেশের রাষ্টদূতকে বার বার বলার শর্তেও থামছে না। বিষয়টি নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রালয় বিভিন্ন আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। মিয়ানমারের ফাঁদে পা দেয় না বাংলাদেশ মন্তব্য করে যা ব/ললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
মিয়ানমারের উসকানিতে বাংলাদেশ কখনো পা দেয় না উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, সীমান্তের ঘটনা বাংলাদেশ ঠাণ্ডা মাথায় মোকাবিলা করেছে। যা করার দরকার ছিল, সেটাই করা হয়েছে।
বিদেশ সফর শেষে দেশে ফিরে মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্র গিয়েছিলেন মোমেন। সেখান থেকে জাপানে যান দেশটির প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের শেষকৃত্যে যোগ দিতে।
সম্প্রতি মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে একাধিকবার গো/লা নিক্ষিপ্ত হয়। এতে একজনের প্রা/ণহানিও হয়েছে। এসব ঘটনায় বাংলাদেশে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে প্রতিবাদ জানানো হয়।
পাশাপাশি ঘটনাগুলো বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের কাছে তুলে ধরে। এ ধরনের ঘটনায় বাংলাদেশের সহনশীল আচরণের প্রশংসা করেছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।
এ প্রসঙ্গে আব্দুল মোমেন বলেন, মিয়ানমারের উসকানিতে আমরা কখনো পা দেই না। ওই সীমান্তের ঘটনা আমরা ঠাণ্ডা মাথায় মোকাবিলা করছি।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন চলাকালে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অধিবেশনে ইউক্রেন-রাশিয়া ইস্যু নিয়ে আলোচনা হলেও আমরা রোহিঙ্গা সংকট গৌন হতে দেইনি। বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের উপস্থিতিতে খুব ভালো আলোচনা হয়েছে।
রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানে জাতিসংঘের ভূমিকা চাওয়া প্রসঙ্গে ড. মোমেন বলেন, রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আমরা আগেও জাতিসংঘে গেছি। এখনো সুযোগ আছে যাওয়ার। তবে আগের চেয়ে জাতিসংঘ অনেক দুর্বল হয়ে গেছে। তারা অনেক দেশেই যু/দ্ধ-সংঘাত থামাতে পারছে না।
র্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে র্যাবের নিষেধাজ্ঞা ইস্যু তুলে ধরেছি। এটা (বিষয়টির সুরাহা) একটা প্রসেসের মধ্যে আছে।
প্রসঙ্গত, বার বার বলার শর্তে মিয়ানমার বিষয়টি গো/লাবারুদ ছোড়া বন্ধে হচ্ছে না সে ব্যাপার বাংলাদেশ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করছে বলে মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ কখনো যু/দ্ধে জড়াবে না আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করবে।