মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে নিয়ে ক্রমশই দেশ জুড়ে আলোচনা-সামালোচনা তীব্র হচ্ছে। এবং অনেকেই সরকারের কর্মকান্ড নিয়ে নানা ধরনের প্রশ্ন তুলেছে। তবে চলমান অস্থিতিশীলতা নিরসনে নিরলস ভাবে কাজ করছে সরকার। এমনকি মার্কিন অভিযোগ অস্বীকার করেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে এই নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বেশ কিছু কথা জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। এবং তিনি বলেছেন যুক্তরাষ্ট্র র্যাবকে নতুন করে প্রশিক্ষণ দিতে পারে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী (Foreign Minister) এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র্যাব) (RAB) কীভাবে অপারেশন চালাতে হয় তা শিখিয়েছে। কার্যক্রম পরিচালনায় সমস্যা হলে যুক্তরাষ্ট্র র্যাবকে পুনরায় প্রশিক্ষণ দিতে পারে। বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের (Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman) প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনকালে আবদুল মোমেন এ কথা বলেন। র্যাবের কর্মকাণ্ডের সমালোচনায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর ভূমিকা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আন্তর্জাতিক সংস্থা হলেই যে খুব ভালো সংস্থা, তা নয়। একটি সংস্থার মতে, র্যাব বাংলাদেশে অনেক মানুষকে হ/ত্যা করেছে। তারা একসময় বলেছিল, ইরাকে নিষিদ্ধ অ/স্ত্র রয়েছে। এই কথায়, মার্কিন সরকার মনে করে যে সেখানে সত্যিই আছে – আপনি জানেন এর পরের ঘটনা। আমি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে এটি মনে রাখার জন্য অনুরোধ করছি। কীভাবে একটি সংস্থা তাদের বিভ্রান্ত করতে পারে, যা হল কেন তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীজে ক্ষমা চাইতে হয়েছে।’
তিনি বলেন, র্যাবের কার্যক্রমে কোনো সমস্যা হলে যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতা করতে পারে। এ জন্য বাংলাদেশে র্যাব সবার কাছে গ্রহণযোগ্য। আমাদেরও কাজ আছে। আইন লঙ্ঘন হলে আমরা অবশ্যই সেখানে ব্যবস্থা নেব, “তিনি বলেন, তাদের শাস্তি দেওয়া হয়েছে। নারায়ণগঞ্জে কী হয়েছে তা আপনারা জানেন।’ আবদুল মোমেন (Abdul Momen) বলেন, ‘এগুলো (র্যাব) আমেরিকানরা শিখিয়েছে কীভাবে নিতে হয় অ্যাকশন। যদি তাদের রুলস অফ এনগেজমেন্ট নিয়ে কোনো সমস্যা হয়, তাহলে আমরা আমেরিকানদের বলব তাদের নতুন করে ট্রেনিং দিতে যাতে কোনো বিচ্যুতি না হয়। গত ১০ ডিসেম্বর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
এই নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই নতুন করে আবারও বিপাকে পড়েছে বাংলাদেশ। ১২ টি মানবাধিকার সংস্থা বাংলাদেশের র্যাবকে শান্তি রক্ষা মিশন থেকে বাদ দেওয়ার জন্য জাতিসংঘেরর কাছে চিঠি পাঠিয়েছে। তবে বিশ্বে শান্তি রক্ষা মিশনে বাংলাদেশ প্রথম সারির দেশ গুলোর মধ্যে রয়েছে।