কিছুদিন আগে এক কলেজ শিক্ষিকা অল্প বয়সী কলেজছাত্রকে বিয়ের বিষয়টি নিয়ে দেশজুড়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। ২২ বছর বয়সী অনার্স পড়ুয়া মামুন নামের এক কলেজ ছাত্রকে বিয়ে করেন ওই কলেজ শিক্ষিকা। তারা তাদের বিয়ের বিষয়টি বেশ কিছুদিন আড়ালে রাখলেও শেষ পর্যন্ত সেটা প্রকাশ পায় এবং তারা নিজেরাও গণমাধ্যমের নিকট তাদের বিয়ের বিষয়টি তুলে ধরেন। কিন্তু তারা দুজন সুখে আছে বলার কিছুদিন পর ওই শিক্ষিকা আত্মহননের ঘটনা ঘটান। তবে অভিযোগের আঙ্গুল যাচ্ছে ঐ শিক্ষিকার স্বামী মামুনের দিকে। এবার তার অতীত নিয়ে জানা গেল ভিন্ন তথ্য।
কলেজ শিক্ষিকা খায়রুন নাহারের স্বামী কলেজ ছাত্র মামুন মেয়েদের উত্ত্যক্ত করা, নিষিদ্ধ দ্রব্য সেবন ও বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানোর জন্য সব সময়ই এলাকা জুড়ে আলোচিত ছিলেন। এমনকি কলেজ শিক্ষিকার প্রয়ানের জন্য মামুনের দিকে আঙুল তুলেছেন প্রয়াতের স্বজনরা। এ নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
মামুনের বাড়ি নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের পাটপাড়া গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মামুন ছোটবেলা থেকেই ছি’নতাই ও নিষিদ্ধ দ্রব্যের সঙ্গে জড়িত ছিল। তার পরিবার নিয়ে নানা জনশ্রুতি শোনা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, মামুন ছোটবেলা থেকেই বেপরোয়া। ২ বছর আগে সিধুলি গ্রামের গজেন ঘোষ তার বেপরোয়া মোটরসাইকেলের চাপায় প্রয়াত হন। পরে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিটে গেলেও মোটরসাইকেলটি এখনো থানায় রয়েছে।
মামুনের মায়ের প্রথম বিয়ে হয় পাশের সোনাবাজু গ্রামের শুকচাঁনের সঙ্গে। ওই পরিবারে রাজু ও রায়হান নামে দুই ছেলে রয়েছে। মামুনের বাবা মোহাম্মদ আলী তখন ওই এলাকার ইউপি সদস্য ছিলেন। তখন মামুনের মাকে মামুনের বাবা মামি বলে ডাকতেন।
একপর্যায়ে মামুনের মা রাজু-রায়হানকে ছেড়ে মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে সংসার শুরু করেন বলে স্থানীয়রা জানান। এ পরিবারে মামুন ছাড়াও তার বড় দুই বোন রয়েছে। দুই বোনেরও বিয়ে হয়েছে।
রোববার সকালে নাটোর শহরের বালারীপাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে শিক্ষক খায়রুন নাহারের নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়। শিক্ষিকা খায়রুন নাহারের ভাগ্নের দাবি, মামুনের কারণে অশান্তিতে ছিলেন তার খালামনি।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন শরীফ উদ্দিন যিনি নাটোর পিবিআই পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ঘটনার বিষয়ে জানান, পুলিশ এই ধরনের অপ্রত্যাশিত ঘটনার রহস্য বের করার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। আর এই ঘটনার মূল কারণ বের করতে ছায়া তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে পিবিআই। আশা করছে খুব দ্রুত এই ঘটনার প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটন সম্ভব হবে।