Sunday , November 24 2024
Breaking News
Home / Countrywide / আগুন নিয়ে খেলবেন না, আমরা লড়াই করব: ওবায়দুল কাদের

আগুন নিয়ে খেলবেন না, আমরা লড়াই করব: ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তাদের দল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন চায় না, সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন চায়। রোববার সকালে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) প্রধান কার্যালয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পরা মহামারি ও ইউক্রেন সংকটের কারণে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় এটা খুবই খারাপ সময়, খুবই বিপদজনক সময়। এ সময় ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। বঙ্গবন্ধুকন্যা আজ অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেছে, সারা বিশ্বে সংকট, তার প্রতিক্রিয়ায় জ্বালানির দাম ক্রমাগত বাড়ছে। এই মুদ্রাস্ফীতি, আশ্চর্যজনকভাবে, শ্রীলঙ্কাকে বাদ দিয়ে, আজ ইংল্যান্ড-আমেরিকাতে ৯১.১ দশমিক। সব জায়গায় জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। এই কঠিন সময়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে যেতে হবে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা এখন সারা রাত জেগে থাকেন যাতে বাংলাদেশের মানুষ ঘুমাতে পারে।

তিনি এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছেন। এখন পর্যন্ত তিনি বন্যা, মহামারি এবং সংকটের প্রভাব মোকাবেলা করছেন। শক্ত করে ধরে আছে। তাকে শক্তি দিতে হবে, আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ করে শক্তি দিতে হবে। শব্দের সাথে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে নিজেকে জড়াবেন না। খুব খারাপ সময়, খুব বিপদজনক সময়, এই সময়ে ঐক্যের বিকল্প নেই। সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে কেউ কিছু করতে পারবে না। শেখ হাসিনার কারাবাসের কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজ শুধু শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস নয়, বাংলাদেশের গণতন্ত্র দিবস। এই দিনে শেখ হাসিনাকে কারারুদ্ধ করা হয় এবং আমাদের উন্নয়নশীল গণতন্ত্রকে কারারুদ্ধ করা হয়।তিনি বলেন, রাজনীতির জন্য অনেকেই জেলে গেছেন, আমাদের নেত্রী কারারুদ্ধ হয়েছেন, বিএনপি ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু শেখ হাসিনাই ছিলেন প্রথম বন্দি। তারা এসে প্রথমে বিরোধী দলকে গ্রেফতার করে। বিরোধী দলের নেতা প্রথম গ্রেফতার হন, সরকারি দলের নেতা এখনও গ্রেফতার হননি। কি দুর্ব্যবহার. ওয়াজেদের সঙ্গে ঢাকার আদালতের সামনে কী দুর্ব্যবহার! তারা বঙ্গবন্ধু কন্যার প্রতি সামান্যতম সম্মান প্রদর্শন করেনি।

রাজনৈতিক নেতারা সামরিক শাসিত সরকারের সঙ্গে জোট না করলে সরকার বেশিদিন টিকে থাকত না বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, নেত্রীর কারাবন্দি দিবসে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জড়ো হয়েছেন। দেশের রাজনীতিবিদদের একটি অংশ জরুরি সরকারকে সেদিন সহযোগিতা না করলে বাংলাদেশের ওয়ান ইলেভেন টিকে থাকত না। এটা চালিয়ে যাওয়া কঠিন হতো। সেদিনের অনেক রাজনীতিবিদ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সঙ্গে যোগসাজশ করে রাজনীতিকে মাইনাস ফর্মুলায় নিয়ে গিয়েছিলেন। আজ আমি বলব, আমাদের শত্রু ও বন্ধুদের জানতে হবে। চলার পথে শত্রু ও বন্ধুকে চিনতে হবে। একবার বিশ্বাসঘাতক, বারবার বিশ্বাসঘাতক। বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি বলছে… আমাদের পতনের সাইরেন বাজছে। সাইরেন কোথায় শুনলে? কোথায় শুনলেন? রাস্তায় গাড়ি চলার সময় কি আপনি সাইরেন শুনেছেন? আপনি কি সাইরেন শুনতে পেয়েছেন? শোনো, তুমি তোমার বিদায় ঘণ্টার সাইরেন শুনতে পাবে। নেতিবাচক রাজনীতি আপনাকে অপ্রাসঙ্গিক করে তুলেছে, আপনার বিদায়ের ঘণ্টা বাজছে। রাজনীতির মাঠে খেলতে আসার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, খেলা হবে, খেলা হবে রাজনীতির মাঠে। মাঠেই হবে নির্বাচন। এসো, খেলায় এসো, খেলায় এসো নির্বাচন ও রাজনীতির মাঠে।

আগুন নিয়ে খেলবেন না, আমরা লড়াই করব। আওয়ামী লীগ জনগণকে নিয়ে সেই আগুনের খেলা ঠেকিয়ে দেবে। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, ষড়যন্ত্র এখনো চলছে। ১/১১ ষড়যন্ত্রকারীরা এখন সক্রিয়, বিদেশীদের সাথে যোগসাজশ করে। বিএনপি জানে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা যাবে না। তাই তারা সেই ষড়যন্ত্রের খেলায় লিপ্ত হয়েছে। কোনো অবস্থাতেই এটা হতে দেওয়া হবে না। আর কোনো অনির্বাচিত সরকার আসতে দেওয়া হবে না। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, তাদের ষড়যন্ত্র এখনো আছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকুক- তারা মানতে চায় না। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে উন্নয়ন হবে, দেশ এগিয়ে যাবে। এ কারণে তারা আওয়ামী লীগকে ভয় পায়। যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করার জন্য আজ আমাদের অঙ্গীকার করতে হবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদের ষড়যন্ত্র রাজপথে প্রতিহত করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফির সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মণি, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান।

উল্লেখ্য, ওবায়দুল কাদের উক্ত সভায় আরো বলেন, আওয়ামী লীগ কখনোই খালি মাঠে গোল দিতে চায় না। আজ থেকে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচন কমিশন সংলাপে বসছে বলে উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের। এই সংলাপ চলবে ৩১ জুলাই পর্যন্ত। শেষ দিনে কমিশনের সঙ্গে সংলাপে অংশ নেবে আওয়ামী লীগের ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের ডাকা এই সংলাপে অংশগ্রহণ করা সব রাজনৈতিক দলের কর্তব্য। যারা নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন করতে চায়, তাদের অবশ্যই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে।

 

 

About Syful Islam

Check Also

দাওয়াত না দেওয়ায় মাহফিল বন্ধ, যা বললেন বিএনপি নেতা এ্যানি

লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে মোহাম্মদিয়া জামে মসজিদ মাঠে তাফসিরুল কুরআন মাহফিল ও ইসলামী সংগীত …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *