চলমান বৈশ্বিক সংকটের কবলে পড়ে দেশ জুড়ে প্রায় দীর্গ ১৮ মাস সকল সরকারি-বেসরকরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। এতে করে শিক্ষাখাত মারাত্মকভাবে ক্ষতির কবলে পড়েছে। তবে বাংলাদেশ বর্তমনা সরকার শিক্ষা খাতের সকল ধরনের সংকট মোকাবিলায় নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন। এবং নতুন শিক্ষাক্রমের কথা জানিয়েছেন। এরই সুত্র ধরে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি আগামী বছরের জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্তের কথা জানালেন।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, নতুন শিক্ষাক্রম চালু হলে জেএসসি পরীক্ষা থাকবে না। তবে শিক্ষার্থীদের অবশ্যই মূল্যায়নের ব্যবস্থা থাকবে। শিক্ষাক্রম চালুর পর মূল্যায়ন পদ্ধতি নির্ধারণ করা হবে। রোববার (১৪ নভেম্বর) মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। মন্ত্রী বলেন, জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা আগামী বছর হবে কিনা সে বিষয়ে এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে শিক্ষাক্রম পরিবর্তন হলে জেএসসি-জেডিসি থাকবে না।
তিনি বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো সুযোগ নেই। তবে একটি অংশ গুজব রটানোর চেষ্টায় আছে। তাদের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর অবস্থানে আছি। কাউকে পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। মন্ত্রী বলেন, সারাদেশে এসএসসি, দাখিল, ভোকেশনাল পর্যায়ে ২২ লাখের বেশি শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছে। আমরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করছি। কোথাও কোনো অনিয়ম পাওয়া গেলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেবো। তিনি আরো বলেন, একটি চক্র প্রশ্নফাঁসের গু/জ/ব রটানোর চেষ্টায় আছে। মা/দ/ক নিয়ন্ত্রণের মতো এ গু/জ/ব রটনাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বর্তমান সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা। এবং সম্প্রতি দেশে বৃদ্ধি পেয়েছে শিক্ষার হার। এছাড়াও বাংলাদেশ সরকার শিক্ষাখাতের উন্নয়ন এবং শিক্ষার হার বৃদ্ধির জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরই লক্ষ্যে সরকার গ্রহন করেছে নানা ধরনের পদক্ষেপ।