আগামী দ্বাদশ নির্বাচনের লক্ষ্যে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে কআজ করছে বাংলাদেশের বর্তমান রাষ্ট্রপতি। এমনকি এরই লক্ষ্যে দেশের রাজনৈতিক দল গুলোর সাথে সংলাপ করছেন তিনি। তবে তার এই সংলাপকে নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলেছে বিএনপি দল। এবং এই দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী রাষ্ট্রপতির সংলাপ এবং আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে বেশ কিছু কথা জানালেন।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘কীসের সংলাপ? এটা স্র্রেফ জনগণের সঙ্গে একটা প্র/তা/র/ণা ছাড়া আর কিছুই নয়। জনগণের ভোট আবারও কেড়ে নেওয়ার একটা প্রক্রিয়া।’ নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সংলাপের বিষয়ে আলাপকালে গতকাল তিনি এসব কথা বলেন। সাবেক এই বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, জনগণ আর প্রতারিত হতে চায় না। তারা এখন তাদের ভোটাধিকার ফিরে পেতে চায়। তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পেতে চায়। এ জন্য প্রয়োজন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার। সেই নিরপেক্ষ সরকার এসে নির্ধারণ করবে কীভাবে নতুন ইসি গঠন করা হবে এবং এতে কারা থাকবেন। তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার কিংবা তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে সংলাপ করলেও একটা বিষয় ছিল। কিন্তু তা না করে আগামী নির্বাচনে আবারও কীভাবে জনগণের সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে সরকার গঠন করা যায়, কীভাবে আবারও দিনের ভোট রাতে ডাকাতির মাধ্যমে ক্ষমতা কুক্ষিগত করা যায় সেই মেকানিজম শুরু করা হয়েছে এই সংলাপের মাধ্যমে। বিএনপির নীতিনির্ধারক আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, মানুষের সঙ্গে প্রতারণার তো আর কিছু বাকি নেই এ সরকারের। নতুন করে আবার এই প্রতারণা বা ঠাট্টা-তামাশা করার কোনো দরকার নেই। দেশের জনগণকে এতটা বোকা ভাবারও কোনো সুযোগ নেই। আগে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে। তারপর কমিশন গঠনের প্রশ্ন আসবে। নয় তো ইসি গঠন নিয়ে এ সংলাপে অংশ নেওয়ার তো প্রশ্নই আসে না। বিএনপি স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ভোট ও গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার একটা মেকানিজম হচ্ছে রাষ্ট্রপতির এই সংলাপ। এমন প্রক্রিয়ায় কোনো গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল অংশ নিতে পারে না। কেন যাবে তারা এ প্রতারণার সংলাপে? দেশের মানুষের ভোট কেড়ে নেওয়ার, দেশের ভবিষ্যৎ কেড়ে নেওয়ার একটা প্রক্রিয়া হলো এই সংলাপ। কোনো গণতান্ত্রিক দল কিংবা মানুষ এ সংলাপে যেতে পারে না। এ জন্য ইসি গঠন নিয়ে বিএনপি কোনো কথাই বলবে না। দলের সিদ্ধান্ত হচ্ছে, নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন না হলে সে নির্বাচনে বিএনপি যাবে না। একমাত্র নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার নিয়ে কোনো সংলাপ হলে সেখানে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে বিএনপি চিন্তাভাবনা করতে পারে।
ইতিমধ্যে বর্তমান সরকার আগামী নির্বাচনের লক্ষ্যে প্রস্তুতি শুরুর জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছেন। তবে আগামী নির্বাচন সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ ভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ার লক্ষ্যে সরকারের কাছে কয়েকটি দাবি জানিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। অবশ্যে সরকার এই বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছে। তবে অনেক নেতাকর্মীরাই সরকারের দেওয়া আশ্বাসে ভরসা রাখতে পারছে না।