আগামীকাল বুধবার (১ নভেম্বর) থেকে হিমাগারে সরকার নির্ধারিত আলুর দাম কার্যকর করতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
আজ মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. হায়দার আলী এ তথ্য জানান।
মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের সব হিমাগার থেকে সরকার নির্ধারিত মূল্যে ২৬ থেকে ২৭ টাকা কেজি আলু বিক্রির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে সব জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার থেকে এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে জেলা প্রশাসকদের চিঠি দেওয়া হয়েছে।
এ বছর মৌসুমের শুরুতে অর্থাৎ মার্চ মাসে কৃষকরা আলু বিক্রি করেন প্রতি কেজি ১০-১২ টাকায়। কিন্তু জুলাই থেকে পণ্যের বাজার অস্থিতিশীল হতে শুরু করে। বর্তমানে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি আলু কিনতে হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। শুধু এবারই নয়, প্রতি বছরই চাষিরা বিক্রির পর থেকে দাম বেড়েছে।
সাধারণত মার্চ মাসে চাষিরা ফড়িয়া ও আড়তদারদের কাছে আলু বিক্রি করে। তারপর জুলাই মাসে দাম বাড়তে শুরু করে এবং সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের মধ্যে তিন মাসের সর্বোচ্চ স্থানে পৌঁছে। কৃষি খাতের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতিবছরই মূলত হিমাগার থেকে আলুর দামের হেরফের হয়। এতে ভূমিকা রাখেন ফড়িয়া, হিমাগার (কোল্ড স্টোরেজ) মালিক ও আড়তদাররা।
বাজার অস্থিতিশীল থাকায় খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি আলুর সর্বোচ্চ দাম ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা নির্ধারণ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে পাইকারি ও খুচরা বাজারে এর কোনো প্রভাব পড়েনি। সংশ্লিষ্টরা জানান, কৃষকরা আলু উৎপাদন করলেও ন্যায্য দাম পান না। তাদের কাছ থেকে তুলনামূলক কম দামে কিনে মৌসুম শেষে ব্যবসায়ী ও হিমাগার মালিকরা দাম বাড়িয়ে বাজারকে অস্থিতিশীল করে তোলে।