বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের পরিবর্তন আনতে দেশের রাজনৈতিক দলগুলো বিভিন্ন ধরনের দাবি জানিয়ে আসছে। দলগুলো ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ তুলে দলকে ক্ষমতা থেকে নামতে আহবান জানিয়েছে। তবে ক্ষমতাসীন দল তাদের সেই সকল ফাঁকা আহবানকে পরোয়া না করে ক্ষমতায় থেকে কাজ করে চলেছে। আ.লীগ নেতারা মনে করছেন আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে দেশে একটি অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি করার পায়তারা করছে একটি মহল। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবার এই বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন সেই অস্থির পরিস্থিতি সৃষ্টি করা মহলটিকে।
তিনি বলেছেন, ‘যে রাজাকারের বাচ্চারা দেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে, বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে, তাদেরকে আখাউড়া কেন- বাংলাদেশের কোথাও থাকতে দেওয়া হবে না।’
শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নে অসহায়, দুস্থ মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণকালে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। আইনমন্ত্রী নিজস্ব অর্থায়নে উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের ৭০০ অসহায়, দুস্থ মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন।
আনিসুল হক বলেন, রাজাকারের বাচ্চারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা নষ্ট করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। তাদেরকে কোনো ধরনের প্রশ্রয় না দিয়ে জনগণকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি। এ সময় মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলার অধিকার আদায়ের জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন। আমরা স্বাধীন বাংলার নাগরিক। আমরা স্বাধীন বাংলাকে ২০৪১ সালের মধ্যে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলব।
তিনি আরও বলেন, আমরা আগে ছিলাম গরিব দেশ। এখন মধ্যম আয়ের দেশ ও একটা উন্নয়নশীল দেশ হয়েছি। এর পরে আমরা বাংলাদেশকে ইনশাআল্লাহ, উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলব।
ধরখার ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আরিফুল হক বাছির সভাপতিত্ব করেন। নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান শাফিকুল ইসলাম শাফিকের সঞ্চালনায় শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- আখাউড়া পৌরসভার মেয়র ও যুবলীগের আহ্বায়ক তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ভুঁইয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিম ভুঁইয়া, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নুরাদ হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু প্রমুখ।
উল্লেখ্য, আনিসুল হক একজন প্রখ্যাত আইনজীবী, তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যা মামলার প্রধান ভূমিকা পালন করেন এবং সেই সাথে তিনি একজন সফল রাজনীতিবিদ। আনিসুল হক ২০১৪ সাল থেকে বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০০১ সালে তিনি একজন আইনজীবী হিসাবে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নিযুক্ত হন। ২০১০ সালে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট হয়ে তিনি বেশ সফলতার সাথে আইন বিষয়ে সফলতা পান। বর্তমান মন্ত্রী থাকা অবস্থায় তিনি বঙ্গবন্ধুর মামলার দিক নির্দেশনা দেন।