Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Countrywide / আকরাম খানের বাসা থেকে তার গৃহকর্মীর নিথরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ, গৃহকর্মীর ভাই করেছেন মামলা

আকরাম খানের বাসা থেকে তার গৃহকর্মীর নিথরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ, গৃহকর্মীর ভাই করেছেন মামলা

আকরাম খান হলেন বাংলাদেশের একজন খুব খ্যাতনামা ক্রিকেট খেলোয়ার। তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের একজন দায়িত্ববান অধিনায়ক হিসেবেও তার দায়িত্ব পালন করে গিয়েছেন এবং বাংলাদেশকে খুব ভালো ভালো ম্যাচ উপহারও দিয়েছিলেন। সম্প্রতি জানা গিয়েছে আকরাম খানের বাসার গৃহকর্মী মোসাম্মৎ সাহিদার নিথরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক আকরাম খানের গৃহকর্মী মোসাম্মৎ সাহিদার (২৫) নিথরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার মধ্যরাতে রাজধানীর মহাখালী ডিওএইচএসে আকরাম খানের বাড়ির কাছে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায় সাহিদাকে। এ ঘটনায় শাহিদার ভাই ইউসুফ আলী বাদী হয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাফরুল থানায় একটি অপপ্রয়ানের মামলা করেছেন।

জানা যায়, সাহিদার বাড়ি সীতাকুণ্ড পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের পান্থিচিলা এলাকার মহাদেবপুর গ্রামে। তার বাবা একজন কৃষক। বড় বোন রাসেদা বেগম জানান, সাহিদা বেগম ১৩ বছর ধরে আকরাম খানের বাড়িতে কাজ করছিলেন। এই সময়ের মধ্যে তিনি কখনও নির্যাতনের অভিযোগ করেননি। বরং মামারা (আকরাম খান দম্পতি) খুব স্নেহশীল ছিলেন।

তবে সাহিদা আত্মহত্যা করেছে নাকি তাকে প্রাণনাশ করা হয়েছে তা সোমবার পর্যন্ত নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। কাফরুল থানার ওসি মো. হাফিজুর রহমান জানান, রোববার রাত ১১টার দিকে ডিওএইচএসের ৩ নম্বর সড়কের দুটি ভবনের মাঝখানে সাহিদার নিথর দেহ পড়ে যায়। কীভাবে তার প্রয়াত হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই বিষয়টি পরিষ্কার হবে।

তিনি বলেন, আকরাম খান ছয়তলা ভবনের পাঁচ ও ছয়তলা ডুপ্লেক্স বাড়িতে থাকেন। ছয়তলার ছাদ থেকে পড়ে সাহিদার প্রয়াত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। বাড়ির পেছনে নিথরদেহ পাওয়া গেছে। পেছনে আরেকটি ভবন আছে। অর্থাৎ নিথরদেহ দুটি ভবনের মাঝখানে পড়ে ছিল। সাহিদার বাম হাত ভেঙে গেছে এবং শরীরে কিছু আঘাতের চিহ্ন রয়েছে উল্লেখ করে ওসি বলেন, ময়নাতদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে কী ঘটেছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।

আকরাম খান সাংবাদিকদের বলেন, সাহিদা ১৪ বছর ধরে তার বাড়িতে কাজ করছেন। ঘটনার দিন রোববার তার স্ত্রী ও মেয়ে বাইরে যায়। বাড়িতে বসে খেলা দেখছিলেন। বাড়িতে চারজন কাজের মেয়ে আছে। ফেরার পর তার স্ত্রী ও মেয়ের কাউকে পাওয়া যায়নি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর সেখানে সাহিদাকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। তিনি সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাটি পুলিশকে জানান।

আকরাম খানের গাড়ির চালক জয়নাল বলেন, রোববার দুপুরে ম্যাডাম, তার মেয়ে ও খালার সঙ্গে গুলশানে কেনাকাটা করতে গিয়েছিলাম। রাত ১০টার দিকে বাসায় ফিরে। এ সময় সাহিদাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে জানতে পারি তিনি দুই ভবনের মাঝখানে পড়ে আছেন। তিনি বলেন, ১৯৯৮ সাল থেকে আকরাম স্যারের গাড়ি চালাই। সাহিদাকে আমি অনেকদিন ধরে চিনি। এর চেয়ে খারাপ কিছু দেখিনি। আকরাম স্যারের মেয়ে আতিফার দেখাশোনা করতেন সাহিদা। ম্যাডামকে কখনো তার সাথে খারাপ ব্যবহার করতে দেখিনি।

প্রসঙ্গত, আকরাম খানের গৃহকর্মীর নিথরদেহ উদ্ধার হওয়ায় খুব চাঞ্চল্যতার সৃষ্টি হয়েছে। আকরাম বর্তমানে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন। গৃহকর্মীর নিথরদেহ উদ্ধার করার পর জানা গিয়েছে পুলিশ এই ঘটনাটির রহস্য উদ্ধার করার জন্য কাজ শুরু করতে যাচ্ছেন।

About Shafique Hasan

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *