সম্প্রতি ড. আকবার আলী খান মা/রা গেছেন তার মৃ/ত্যুতে দেশের রাজনীতিবিদসহ দেশের বিভিন্ন মহল শোক প্রকাশ করেন। তিনি একাধারে দেশের নামকরা অর্থীতিবিদ, শিক্ষাবিদ এবং সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকার উপদেষ্টা ছিলেন। তবে তার কর্মকান্ড নিয়ে ভিন্ন কথা বললেন পিনাকী ভট্টাচার্য। তিনি আসলে বাংলাদেশ রাজনৈতিক ব্যবস্থা কেমন চেয়েছিলেন তার প্রমাণ মেলেছে অনেক আগেই। এ বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন পিনাকী ভট্টাচার্য পাঠকেদের জন্য হুবাহু নিচে তুলে ধরা হল।
আকবর আলী খান মারা গেছেন। পণ্ডিত ব্যক্তি ছিলেন সন্দেহ নাই। কিন্তু তিনি কেমন বাংলাদেশ চেয়েছিলেন? আসেন আমরা তার একটা বিবৃতি দেখি ২০১৩ সালের ২০ জুলাই প্রথম আলোতে প্রকাশিত হয়েছিলো। আসেন আমরা বিবৃতিটার অংশবিশেষ পড়ি আর দেখি তিনি কাদের সাথে এই বিবৃতি সাক্ষর করেছিলেন।
“দেশের ২০ জন বিশিষ্ট নাগরিক জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন। নাগরিক সংগঠন ‘বাংলাদেশ রুখে দাঁড়াও’ এর পক্ষে গতকাল শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তাঁরা বলেছেন, বাংলাদেশে স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী দলের রাজনীতি করার অধিকার থাকা উচিত নয়। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের উপর্যুপরি চারটি রায়ে বিচারকমণ্ডলী তাঁদের সুনির্দিষ্ট পর্যবেক্ষণে জামায়াতে ইসলামীকে পাকিস্তানি বাহিনীর গ/’ণহত্যা, ধ্বং/সযজ্ঞ, ধ/’র্ষণ ও অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধের সহযোগী একটি সংগঠন হিসেবে অভিযুক্ত করেছেন। জামায়াত ও তাদের ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির স্বাধীনতার পর থেকে কেবল বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও ভাবাদর্শের বিরোধিতা করেনি, তারা গত চার দশকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দেশের স্বার্থবিরোধী কার্যকলাপ অব্যাহত রেখেছে। তারা মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারকে বানচাল করার জন্য সংখ্যালঘুদের মন্দির ও বিগ্রহ ধ্বং/স, রেললাইন উৎপাটন, বিদ্যুৎকেন্দ্রে অ/গ্নিসংযোগসহ চরম না/শকতা সৃষ্টি করেছে। তাদের তা/ণ্ডবের শিকার হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, মুক্তিযু/দ্ধের সপক্ষের শক্তি ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। তারা ভিত্তিহীন নাস্তিক অপবাদ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নতকারী গণজাগরণ মঞ্চের নেতা-কর্মীদের ওপর হা/মলা চালাতে উদ্যত হয়েছে।
সন্দেহাতীতভাবে জামায়াত-শিবির ধর্মের অপব্যাখ্যা ও মিথ্যাচারকে অবলম্বন করে একটি স/ন্ত্রাসী সংগঠনের পরিচয় বহন করছে।বিবৃতিদাতারা হলেন অধ্যাপক সালাহউদ্দিন আহমেদ, ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, অধ্যাপক এম হারুন-অর-রশিদ, আকবর আলি খান, অজয় রায়, কাইয়ুম চৌধুরী, সৈয়দ শামসুল হক, কামাল লোহানী, সুলতানা কামাল, রামেন্দু মজুমদার, মুহম্মদ জাফর ইকবাল, সারওয়ার আলী, আনোয়ারা সৈয়দ হক, জিয়াউদ্দিন তারিক আলী, শাহদীন মালিক, রানা দাশগুপ্ত, নাসিমুন আরা হক, সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম এবং এম এম আকাশ।”
তাহলে আকবর আলী খান যেই বাংলাদেশ এনভিশন করেছিলেন সেই বাংলাদেশে জামায়তে ইসলামী থাকবে না। তার মতে ছাত্র শিবির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দেশের স্বার্থবিরোধী কাজ অব্যাহত রেখেছে। আকবর আলী খানের মতে গণজাগরণ মঞ্চ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রেখেছে? তিনি কাদের সহযো/দ্ধা ছিলেন? কাদের সাথে বিবৃতিতে সাক্ষর করেছিলেন?
ভাইজান, আকবর আলী খান বাংলাদেশের সেই সো কল্ড স্যেকুলার এস্টাব্লিশমেন্টের মানুষ যার প্রতীক শেখ হাসিনা। যারা শেখ হাসিনাকে আজকের ফ্যা/সিস্ট হাসিনা বানিয়েছে।
আকবর আলী খান কি তার সেই অবস্থান পরিবর্তন করেছিলেন? যদি না করে থাকেন, তাহলে আকবর আলী খান আজকের বাংলাদেশের জনক। তার রাজনীতি প্রতিরোধযোগ্য। পান্ডিত্যকে কুর্নিশ করার কিছু নাই। পান্ডিত্য কোন রাজনীতিকে পুষ্টি দিয়েছে সেটা দেখুন।
তারপরে না আবগের ঝাপি খুলবেন।
প্রসঙ্গত, তিনি বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থার জন্য দায়ী কারন বর্তমান সরকারের হয়েই কাজ করেছেন মন্তব্য পিনাকী ভট্টাচার্য। অথচ এখন তাকে নিয়ে মায়া কান্না করছে অনেকে।