দেশের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক একটি দল ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’। আর এ দলটির রয়েছে বিভিন্ন সংগঠন। তার মধ্যে অন্যতম একটি ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’। দেশ ও মানুষের উন্নয়নের পেছনে নানা ভূমিকা রেখে চলেছে এ সংগঠনটি। তবে মাঝে মধ্যেই নানা অপ্রত্যাশিত কাণ্ড ঘটিয়ে সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে আসে ‘ছাত্রলীগ’ এ নামটি।
শুক্রবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সব সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। আকতার হোসেনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছেন চাকরি ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফৌজিয়া জাফরিন প্রিয়ন্তী। শুক্রবার রাতে প্রিয়ন্তী তার ফেসবুক টাইমলাইনে কুপ্রস্তাবসহ নানা অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে প্রিয়ন্তী গণমাধ্যমকে বলেন, আমি ৭ বছর ধরে তার সঙ্গে রাজনীতি করছি। বর্তমান কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। তারপরও তিনি আমাকে কোনঠাসা করে রেখেছেন। সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর আখতার হোসেন বলেন, আমি নেতা হয়েছি। আমার কমান্ডে চলতে হবে।
তিনি বলেন, আমি একদিন কান্নাকাটি করে ভাইকে বলেছিলাম যে আমি কিছু ভুল করেছি,” যদি আমার কোন ভুল থাকে, আমি সেগুলি সংশোধন করব। তখন তিনি (আখতার) বলেন, এখন থেকে দেখব তুমি কতটা রাজনীতি করেছ। আগে কতটুকু করেছে সেটা দেখার বিষয় না
প্রিয়ন্তী বলেন, আমাকে হলে পর্যন্ত সিট দেয় নাই। তার কমান্ডে যেখানে যেতে বলবো সেখানে যেতে হবে। তাকে খুশি করতে পারলে হলের নেত্রী হতে পারবে। একদিন ছাত্র সংসদে আমি যাই। একজন জুনিয়র মেয়ে আমাকে দেখে সিট ছেড়ে দেয়। তখন তিনি বলেন, তোমাকে কে ছিট ছাড়তে বলছে। সে পরে আসছে সবার পিছনে বসবে। তারপর ওই জুনিয়র মেয়েকে নিচে নেমে অনেক গাল-মন্দ করেছে।আমার সাথে রাজনীতি করতে হলে আমার কমান্ডে করতে হবে।
তিনি বলেন, আমি ফেসবুকে পোস্ট করার পর রাতে আপনাকে ফোন করে বলেন যে, আমি তোমার সাথে ভুল করেছি। এখন এই কাজগুলো কে করেছে? এসব করা ভালো ছিল না।
এদিকে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে ঐ ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদকের মুঠো ফোনে একাধিকবার ‘কল’ করা হলেও, ফোন রিসিফ না করায় এ বিষয়ে তার কাছ থেকে এখনও কোনো জানা সম্ভব হয়নি।