একসময় বাংলাদেশের রাজনীতির ক্ষমতার কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ছিলো এই ভবন। মাত্র চার মাস আগেও এখানে প্রবেশ করতে হলে দলের নেতাকর্মীদের কাছে অনুমতি বা লবিং প্রয়োজন হতো।
তবে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর থেকে ভবনের পরিস্থিতি পুরোপুরি পাল্টে গেছে। এখন আর কোনো নেতাকর্মী এই কার্যালয়ে আসেন না।
এই শূন্যতা কাজে লাগিয়ে ভবনটিতে আশ্রয় নিয়েছে মাদকসেবী ও অপরাধীরা। ভবনের বিভিন্ন তলায় মাদক সেবন থেকে শুরু করে দেহব্যবসার মতো কর্মকাণ্ড চলছে।
ভবনের সামনে পুলিশ মোতায়েন থাকলেও, তাদের নজর এড়িয়ে অপরাধীরা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ভবনের বিভিন্ন ঘর অপরাধীরা নিজেদের মতো করে সাজিয়ে নিয়েছে, যেখানে দিনের আলোতেই অবাধে চলছে দেহব্যবসা।
সরেজমিনে দেখা যায়, কিছু ব্যক্তি প্রকাশ্যে গাঁজা সেবন করছে, আর তাদের পাশেই এক নারী দাঁড়িয়ে আছেন। রাতে ভবনটি আরও ভয়াবহ চেহারা ধারণ করে, যখন অপরাধীরা নিশ্চিন্তে এখানে অবস্থান নেয়।
পল্টন থানার ওসি জানিয়েছেন, ভবনটি নিয়ে যেকোনো অভিযোগ পাওয়া মাত্রই ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
কিন্তু একসময় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রাণকেন্দ্র এই ভবন এখন কার্যত অপরাধের আস্তানা এবং ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। ভেতরে পাওয়া গেছে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের স্পষ্ট প্রমাণ।