আওয়ামী লীগ হলো বর্তমানে বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল। তারা গত কয়েক বছর ধরে সফলতার সহিত দেশ পরিচালনা করে যাচ্ছেন আর বাংলাদেশের ইতিহাসে আওয়ামী লীগ সবথেকে বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় রয়েছেন। সম্প্রতি জানা গেছে জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী নজরুল ইসলাম চৌধুরী নির্বাচনের মাত্র পাঁচদিন আগে আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন এবং যোগদনের পর তিনি বলেন আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছি এখন আর কোনো ভয় নেই আমার।
জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী নজরুল ইসলাম চৌধুরী নির্বাচনের মাত্র পাঁচদিন আগে যোগদান করেন আওয়ামী লীগে।
ক্ষেতলাল উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় তাকে ফুলেল তোড়া দিয়ে দলে বরণ করে নেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ারুজ্জামান তালুকদার নাদিম ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সরদার।
নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘আমার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী জুলফিকার আলী চৌধুরী আমাকে ওয়ার্ডের কোথাও গণসংযোগ করতে দিচ্ছেন না। যেখানেই আমি গণসংযোগ করতে যাচ্ছি সেখানেই বাধার সম্মুখীন হচ্ছি। তিনি আরো বলেন আমি কোনো দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। এ কারণে কেউ আমাকে সহযোগিতাও করছেন না। আমি আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগে যোগদান করেছি। এখন আর আমার কোনো ভয় নেই। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সবাই ভোটে আমার পাশে থাকবেন।’
এ অভিযোগের সম্পর্কে জুলফিকার আলী চৌধুরী বলেন, ‘আমি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলাম। গত নির্বাচনে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে প্যানেল মেয়র হয়েছি। আমি কাউন্সিলর পদপ্রার্থী নজরুল ইসলামকে গণসংযোগে বাধা দেইনি। জনপ্রিয়তা না থাকলে দলে যোগদান করিয়ে নিয়ে কোনো ফায়দা হবে না বলে জানান তিনি।
ক্ষেতলাল উপজেলা প্রশাসন আনোয়ার নেতা তালুকদার নাদিম বলেন, ‘নির্বাচনের আগে তাকে (নজরুল ইসলামি) বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি দেখানো হয়েছে। নজরুল ইসলামে যোগদান করেছেন। এখন থেকে বীরের বেশে গণসংযোগ করবেন। যদি কেউ গণসংযোগ করলে তাকে বাধা দেয় তাহলে সেই বাধা প্রতিহত করা হবে।
রিটার্নিং ও নওগাঁ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান বলেন, ‘আগামী ২৭ জুলাই ক্ষেতলাল পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম সরদার বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।’
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ দলটি হলো বাংলার মানুষের ভালোবাসার একটি দল। আর জনগনের সেই অসীম ভালোবাসা নিয়েই দলটি বার বার দেশের ক্ষমতায় এসছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বাংলার মানুষের মঙ্গলের জন্য ফিরে এসেছিলেন বাংলার মাটিতে। তিনি ফিরে এসেই তার পিতার স্বপ্নগুলো একে একে করছেন পূরণ।