২৭ দিন পর অবশেষে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু এত দেরির কারণ কী? পলাতক শেখ হাসিনার প্রতি মোদীর আস্থা, নাকি ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফোনালাপ তাকে বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিল?
প্রশ্ন উঠেছে, এটি কি শুধুই নববর্ষের শুভেচ্ছা নাকি এর পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক বার্তা? ভারতীয় গণমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে, ৭ জানুয়ারি ট্রাম্প ও মোদীর মধ্যে ফোনালাপ হয়। আলোচনায় ছিল অর্থনৈতিক সহযোগিতা, অবৈধ ভারতীয়দের ফেরত পাঠানো এবং এই অঞ্চলের নিরাপত্তা। অর্থাৎ, বাংলাদেশ প্রসঙ্গ এড়ানোর সুযোগ ছিল না।
অন্যদিকে, ২৩ জানুয়ারি রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, “নয়াদিল্লির সঙ্গে টানাপোড়েনের সম্পর্ক ব্যক্তিগতভাবে অনেক কষ্ট দেয়। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হওয়া উচিত।”
ট্রাম্পের ফোন, ইউনুসের বার্তা, তারপরই মোদীর শুভেচ্ছা—সবই কি কাকতালীয়? নাকি ভারতের কূটনৈতিক চালের অংশ?
শুধু বাংলাদেশ নয়, মোদী নিজ দেশেও চাপে আছেন। ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের শপথ অনুষ্ঠানে তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি—এ নিয়ে দলের ভেতরেই অস্বস্তি বাড়ছে। তার ওপর, ছাত্র আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ার কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন ভারতকে আরও কোণঠাসা করেছে।
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হওয়ায় ভারতীয় অর্থনীতি ধাক্কা খাচ্ছে। ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি, “ভারতের পণ্যের ওপর ১০০% শুল্ক বসবে, কয়েক লাখ ভারতীয়কে আমেরিকা থেকে ফেরত পাঠানো হবে”, ভারতকে আরও চাপে ফেলেছে।
এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনের জন্য মোদী এখন নতুন কৌশল নিচ্ছেন কিনা, সেটাই এখন আলোচনার বিষয়।