ওবায়দুল কাদের হলেন বাংলাদেশের বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের একজন প্রখ্যাত রাজনীতিবীদ এবং সেই সাথে তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় সেতু ও সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী। এই সম্মানীয় পদে অধিষ্ঠিত হবার পর থেকে তিনি সততা ও নিষ্ঠার সহিত তার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। সম্প্রতি তিনি তার এক বক্তব্যে বলেছেন আন্দোলনে সহিংসতা হলে মোকাবিলা করা হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, আন্দোলনের নামে সহিংসতা হলে জনগণই তা মোকাবেলা করবে।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কখনো কাউকে আক্রমণ করবে না। তবে হামলা হলে পাল্টা হামলা হবে।
শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে ‘টেকসই উন্নয়নের জন্য পরিবেশ সুরক্ষা’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘সবুজ বাংলাদেশ: সমৃদ্ধ বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলনের আয়োজন করেছে আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটি।
নির্বাচনে শেখ হাসিনা সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারবেন না জেনেই বিএনপি নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করার পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা খারাপ কাজ ও অপরাধ করে তারা আওয়ামী লীগের হলেও ছাড় দেওয়া হবে না।
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপির লোকজন অপরাধী হলে তাদের আইনের আওতায় আনতে এত আপত্তি কেন?’
আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দকার বজলুল রহমানের সঞ্চালনায় সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন- পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী প্রমুখ। নওফেল এবং বন ও পরিবেশ উপ-কমিটির সদস্য সচিব দেলোয়ার হোসেন।
প্রসঙ্গত, বিএনপি বাংলাদেশের অন্যতম একটি রাজনৈতিক দল। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলের নেতাকর্মীরা তাদের কার্যক্রম পুরোপুরিভাবে শুরু করে দিয়েছে। তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে আয়োজন করছে সভা ও সমাবেশের এবং সেখানে তাদের নিজ নিজ মূল্যবান বক্তব্য রাখছেন। তবে দেশের সাধারণ মানুষের আশা প্রত্যেকবারের মত এবারো দেশে একটি সুষ্ঠ ও নিরেপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।