আগামী জাতীয় নির্বাচনে জাপা তাদের অবস্থান প্রকাশ করবে না। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তাগিদ; দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নেবে দলটি।
তবে বিদেশিদের দাবি উপেক্ষা করে সরকার বিএনপি ছাড়া নির্বাচনে গেলে আসন বাড়ানোই হবে দলটির লক্ষ্য।
পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের সভাপতিত্বে চার ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠকে নির্বাচনের তফসিল না হওয়া পর্যন্ত জাপা যেমন আছে তেমনই থাকবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। বক্তৃতায় সরকারের সমালোচনা করলেও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যাওয়া যাবে না। দলটি আলোচনায় থাকতে বিভাগীয় পর্যায়ে কর্মশালা করবে। যৌথসভা থেকে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার একক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে জিএম কাদেরকে।
জাপা সূত্রে জানা গেছে, দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদসহ সিনিয়র নেতারা বৈঠকে বলেন, আওয়ামী লীগের অবস্থান এখনো শক্ত। সরকার বিদ্যমান ব্যবস্থা অর্থাৎ দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে অনড়। বিএনপির আন্দোলন সরকারকে নাড়াতে পারেনি। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো সুষ্ঠু নির্বাচনের আহ্বান জানালেও কোনো বড় ধরনের হস্তক্ষেপ নেয়নি। ফলে বিকল্প চিন্তা করার সুযোগ নেই জাতীয় পার্টির। রাজনীতিতে টিকে থাকতে হলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকতে হবে। তা না হলে আগামী সংসদে নিজেদের জায়গা হারাবেন বলে বৈঠকে জানিয়েছেন জাপার একাধিক সংসদ সদস্য।
উল্লেখ্য, বিএনপি নির্বাচনে না এলে জাতীয় পার্টির অবস্থান কী হবে তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। এ বিষয়ে করণীয় কি তা ঠিক করতে গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর বনানী কার্যালয়ে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ সদস্যরা এক যৌথ বৈঠকে বসেন। সভায় ৫১ জন প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ৩৮ জন সংসদ সদস্য অংশ নেন।