সম্প্রতি নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন নতুন কৌশল নিচ্ছে সরকার।বর্তমান সরকার জোর করে ক্ষমতায় থাকতে আবারও একতরফা নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে।আর সে কারণে বিরোধী দল বিএনপির আন্দোলন দ/মন করতে ভিন্ন কৌশল নিচ্ছে সরকার। শুধু তাই নয় একতরফা নির্বাচনের জন্য তারা রাষ্ট্রীয় বাহিনী দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর দ/মন, পী/ড়ন অব্যাহত রেখেছে।বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন পিনাকী ভট্টাচার্য হুবহু পাঠকদের নিচে দেওয়া হলো।
রুটি নাই তো ওরা কেক খাচ্ছেনা কেন? ফরাসি বিপ্লবের সময়ে রাজপ্রাসদ ঘিরে ধরেছিলো যখন জনতা তখন নাকি রানী মেরি আতোয়ানাত তার সহচরীদের জিজ্ঞাসা করেছিলেন।ওরা এতো হৈ চৈ করছে কেন?
রাণীর সহচরিরা উত্তর দিয়েছিলো ওরা রুটি পাচ্ছেনা। মেরি আতোয়ানাত নাকি জবাব দিয়েছিলো ওরা রুটি পাচ্ছেনা তো কেক খাচ্ছেনা কেন? মেরী আতোয়ানাত কী এই কথা বলেছিলো?
না, তিনি কস্মিনকালেও এই কথা বলেন নাই।তিনি কি এমন কথা বলতে পারতেন? না তিনি একথা বলতে পারেন না। কারণ তিনি খুব সুশিক্ষতা, হৃদয়বান মহিলা ছিলেন।
তাহলে এই কথা এলো কীভাবে। প্রচার হলোই বা কীভাবে? এটাকেই বলে ন্যারেটিভ।এই কথাটা রুশোর কনফেশন বইয়ের একটা ডায়ালগ। ফ্রান্সের একটা প্রচলিত প্রবাদ।
Qu’ils mangent de la brioche
মেরি আতোয়ানাতকে তো গিলোটিনে দিতে হবে তাই তার নামে জনতার কান ভারি না করলে গিলোটিনে হ/ত্যা তো বৈধতা পাবেনা। যেভাবে ইরাকে উইপন্স অব মাস ডেস্ট্রাকশন পাওয়া যায়। যেভাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে র্যাবের ক্রস ফায়ারে মারা যাওয়া হতভাগ্যরা মাদক ব্যবসায়ী, জঙ্গি আর অস্ত্রধারির তকমা পায়। যেভাবে হাসিনার কাছে আমরা জানোয়ার।
ঠিক সেভাবেই এই কুৎসিত মিথ্যাগুলো ছড়ানো হয়েছিলো বিপ্লবের নামে।আমাদের ন্যারেটিভকে এতো শক্তিশালী হতে হবে যে তা যেন হাসিনার ন্যারেটিভকে পরাস্ত করতে পারে।
মুক্তিযুদ্ধ একটা ন্যারেটিভ। আমাদের এর পালটা ন্যারেটিভ তৈরি করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের অল্টারনেট হিস্ট্রি। তাহলেই আওয়ামী লীগের পুনরুত্থানের সম্ভাবনাকে স্তব্ধ করে দেয়া যাবে।আর কেউ করুক বা না করুক। বেচে থাকলে বিধাতা যেন আমাকে এই কাজ করার হিম্মত দেন।