বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এবং বিনপি,বাংলাদেশের রাজনীতির সব থেকে বড় দুই দলের নাম। বাংলাদেশের ইতিহাসের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত এই দুই দলই করে আসছে রাজনীতির মাঠে রাজ্। আর এই কারণেই সব সময়েই এই দুই দোল নিয়ে দেশে চলতে থাকে নানা ধরনের আলোচনা আর সমালোচনা। সম্প্রতি এই দুই দল নিয়ে একটি বিশেষ লেখনী লিখেছেন সুব্রত শুভ। পাঠকদের উদ্দেশ্যে তার সেই লেখনী তুলে ধরা হলো হুবুহু:-
আওয়ামী লীগের একটা গুণ (বদ) হল সে যে কোন কিছুর ক্রেডিট নিতে পারে। দেশে সেক্যুলার আইডিয়ার ক্রেডিটও সে নেবে আবার ধর্মীয়করণের দাবীও সে নিজের জিম্মায় রাখবে। আওয়ামী লীগ কেমন সেয়ানা তার একটা উদাহরণ হল- জিয়ার আমলে মদের লাইসেন্স দেওয়া হইছে এটা তুলে জিয়ার শাসনকে গালাগাল করতে করতে সে “নৌকা ক্লাবে” মদ বেচে।
অন্যদিকে বিএনপি নিজেদের করা কাজগুলোরও ক্রেডিট নেবে না ও প্রচার করে না যদি উগ্র ডানপন্থীরা রাগ করে এই ভয়ে। দেশে নারী ফুটবলের সূচনা করে জিয়া। চিন্তা করেন ৭৬ সালের দিকে বাংলাদেশের মতন গরীব দেশে মেয়েদের ফুটবল, জিমনাস্টিক সে চালু করছে। পাকিস্তান আমলে শিশু- কিশোরদের ট্যালেন্ট হান্ট প্রতিযোগিতা “নতুন কুঁড়ি” জিয়ার আমলে আবার শুরু হয়। আমাদের নাটকের বড় বড় রুচিশীল ও শিক্ষিত অভিনেতা-অভিনেত্রীদের অনেকেই এই নতুন কুঁড়ির মাধ্যমে জাতির সামনে আসছে। সেই নতুন কুঁড়ি ২০০৬ সালের পর আওয়ামী লীগ আর চালায় নাই। দেশে গার্মেন্টস যেখানে আজ ৮০% নারী কাজ করে সেটাও জিয়ার আমলে। এমনকি দেশে ইউনিফমধারী নারী পুলিশের যাত্রা শুরু হয় ১৯৭৬ সালে। অতঃপর ১৯৭৮ সালে ঢাকা মহানগর পুলিশে মহিলা নিয়োগ করা হয়। (স্বাধীনতার পর ১৯৭৪ সালে সর্বপ্রথম সাদা পোশাকে স্পেশাল ব্রাঞ্চে ১২ জন মহিলা পুলিশ নিয়োগ করা হয়)। আবার এই যে দুই বাচ্চা এটা জোরদার হয় জিয়া ও খালেদা জিয়ার আমলে। আমার বন্ধুর মা খালেদা জিয়া থেকে পুরষ্কার পাইছে কারণ তাদের মাত্র দুই সন্তান।
উপরে বিএনপির যে কাজগুলো দেখাইলাম এগুলোর সবগুলোই তো দেশের ডানপন্থীরা বিরোধিতা করছে, এখনও করে। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে নারীদের কাজ কোন কিছুই তো তারা সাপোর্ট করে না।
আর বিএনপি এগুলো করছে কারণ বিএনপি তো ডানপন্থী দল না। সে মধ্যপন্থী মধ্যবিত্তের দল। যে পুঁজিবাদী ও কিছুটা ডান ঘেঁষা।
আলাপটা এই কারণে দিলাম যে, কয়েক বছর ধরে বিএনপির অনলাইন বুদ্ধিজীবীরা কথায় কথায় সব সেক্যুলারদের গালাগালি করে। অথচ তাদের দলেই সেক্যুলার আছে। আবার এই সেক্যুলার ছিল বলে তাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী হইছে। যাদের মন জয় করতে তাদের এতো চেষ্টা হেরা তো নারী নেতৃত্বের বিরোধী। খালেদা জিয়ার একটা গুণ আগেও বলছি, সে নিজে জামাতের সাথে রাজনীতি করলেও তাদের সামনে কখনো মাথা নামাইয়া কথা কয় নাই। রাণীর মতন বসে থাকতো। সম্ভবত সেনা অফিসারের বৌ হওয়ায় এই হেডম। যে জিয়া নারীদের জন্য এতো কিছু করছে তার দলের অনুসারীদের একটা অংশ এখন কর্মজীবী নারীদের বিরোধীতা করে অনলাইনে লেখে- “একটা ছেলের চাকরিতে দুটো পরিবার চলতে দেখেছি আবার এক নারীর চাকরিতে একটা সংসার ভাঙতে দেখেছি। “হলি কাউ!
সুব্রতের লেখা এই স্ট্যাটাস বেশ সারা ফেলেছে সবখানে। অনেকেই পোস্ট এ করছেন নানা ধরনের ইতিবাচক এবং নেতিবাচক কমেন্ট। বিশেষ করে দুই দলের সমর্থকরা তাদের নিজেদের মতো করে দেখছে এই পোস্টটিকে।