বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এ নিয়ে একে একে তিন বার টানা রয়েছে ক্ষমতায়। আর এই কারণেই দলটির নামে এখন উঠছে নানা ধরনের কথা। বিশেষ করে বর্তমান সময়ের বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক অধিকার ক্ষুন্ন করছে বলেও তাদের বিরুদ্ধে উঠছে অভিযোগ। সম্প্রতি এ নিয়ে একটি লেখনী লিখেছেন সাবেক সেনা কর্মতকর্তা মুস্তাফিজুর রহমান। পাঠকদের উদ্দেশ্যে তার সেই লেখনী তুলে ধরা হলো হুবহু:-
আওয়ামীলীগ গত ১৪ বছর ধরে যেভাবে বিএনপিকে নেতৃত্ব শূন্য করেছে আর তার সাথে বর্তমান নেতৃত্বকে উপহাস করে বাকশালীর একদলীয় গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছে তা যে ভেস্তে গেছে তা আওয়ামীলীগ বুঝে গেছে। কিন্তু তা থেকে এখনও তারা শিক্ষা গ্রহন করতে অপারগ। তাদের এখন উচিত সম্পূর্ণ গনতান্ত্রীক উপায়ে বিএনপিকে মোকাবিলা করা; তারা যতই অনৈতিক আচরন করবে বিএনপির এই গনজোয়ার প্রতিরোধ করতে ততই তাদের ক্ষমতার হাত বদলটা অমানবিক হবে বলে আমি মনে করি যা দেশের এবং আওয়ামীলীগের কারও জন্য মংগলজনক হবেনা।
আমি মনে করিনা এই লক্ষ লক্ষ জনগন জন্মলগ্ন থেকে প্রেসিডন্ট জিয়ার আদর্শ লালন করে বা তারা সকলেই বিএনপির কর্মি বা সদস্য ; তার আওয়ামীলীগের জুলুম নির্যাতন, অপশাসন, দূর্ণিতি আর অসচ্ছ অর্থনৈতিক ব্যাবস্হাপনায় তাদের ধৈর্যের শেষ সীমায় পৌছে গিয়ে এখন ঘুরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমাদের মূল শক্তি আমাদের যুব সাম্প্রদায় এখন পর্যন্ত তাদের প্রথম ভোটিও দিতে পারিনি; তারা তাদের ভোটের অধিকার চায়, প্রয়োজনে তারা তাদের এই অধিকার কেড়ে নেবে।
আমি চাকুরীরত থাকা অবস্হায় রেবের কিছু সেনা অফিসার কর্তৃক বিএনপির ওয়ার্ড লেভেলের নেতা কর্মিদের গুম/হ’ত্যা’ করার অনেক গল্প শুনেছি কিন্তু অন্য সূত্র থেকে ভেরিফাই করতে পারিনি বলে শেয়ার করতে পরছিনা। আমি বিশ্বাস করি অচিরেই সেই পরিস্হিতি পরিবেশ হবে যখন এই গুম/খুনের স্বাক্ষীরা এগিয়ে এসে সত্য উপস্হাপন করবে।
আমার চাওয়া একটাই; দেশে একটি সুস্হ নির্বাচন পদ্ধতি বিরাজ করুক যেখানে আওয়ামীলীগ বিএনপি যেই আসুক না কেন তারা যেন বোঝে পাঁচ বছর পর নির্বাচনে আমরা হেড়ে গেলে আমাদেরকে আমাদের অনিয়মের জবাবদিহি করতে হবে।
বিএনপির গনজোয়ার সফল হোক এবং আওয়ামীলীগ এই শেষ সময়ে গনতন্ত্রে ফিরে আসুক এই কামনা করি।
প্রসঙ্গত, এ দিকে বাংলাদেশের রাজনীতির মাঠে নতুন করে বেশ মাথা ছাড়া দিয়ে উঠেছে বিএনপি। সারা দেশে তারা ইতিমধ্যেই শুরু করেছে মহাসমাবেশ করা। আর এই কারণেই এখন রাজনীতির মাঠে তাদের নিয়ে উঠছে নানা ধরনের আলোচনা।