দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে লাগাতার কর্মসূচি পালন করছে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো। ৭ম পর্বে ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ চলছে।
এদিকে কর্মসূচিকে ঘিরে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতার অব্যাহত রেখেছে সরকার। অন্যদিকে বিরোধী দলের নেতারা গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে রয়েছেন। একইভাবে বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনও আত্মগোপনে রয়েছেন।
গত ২৮ অক্টোবর থেকে এই তরুণ নেতাকে কোনো জনসভায় দেখা যায়নি।
তবে চলমান আন্দোলন নিয়ে শনিবার নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও বার্তা দেন দলটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক।
প্রকৌশলী ইশরাক বলেন, বাংলাদেশে এখন ভয়াবহ পরিস্থিতি। বর্তমান অবৈধ ফ্যাসিবাদী বাকশালী সরকার আরেক দফা ক্ষমতা দখল চাইছে। তারা এখনো জনগণের রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুট করে বিদেশে পাচারের প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে। এই সরকার সব মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। মএ সরকার বিরোধী দলকে হত্যা করে হোক ও কারান্তরীণ করে হোক, তারা শাসনক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে চেষ্টা করছে এবং করবে।
জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে ইশরাক বলেন, বর্তমান কর্মসূচি শুধু বিএনপির কর্মসূচি নয়। এটি সর্বসাধারণের কর্মসূচি। তাই জনগণ বাস্তবায়ন করছে। ভবিষ্যতেও কর্মসূচি আসলে সর্বাত্মকভাবে পালনের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে- এ কর্মসূচি কতদিন চলবে? কতদিনে সরকার পতন হবে? আমাদের ওপর আস্থা রাখুন। কিছু দিনের মধ্যে আপনারাই উপলবিদ্ধ করতে পারবেন আন্দোলনের সুফল।
তিনি আরও বলেন, ১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আওয়ামী লীগ ১৭৩ দিন হরতাল করেছিল। ব্যাপক অগ্নিসংযোগ ও ক্ষয়ক্ষতির মাধ্যমে ভয়া”বহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করে তাদের দাবি পূরণ করে। আমরা অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি। সেটির মাধ্যমে যে অবৈধ অর্থনীতি ও লুটপাটের অর্থনীতি সেটি দুর্বল করে আমরা সরকারকে বাধ্য করব। ভবিষ্যৎ আন্দোলন একটি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে বাধ্য করবে। পরবর্তীতে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর হবে। এ জন্য বর্তমান কর্মসূচি বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।
ইশরাক বলেন, এক শ্রেণীর মানুষ এখনো ক্ষমতায় থাকা এই অবৈধ সরকারকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। আমি তাদের বলতে চাই- এখনো সময় আছে। যারা সহযোগিতা করছেন তাদের আমরা চিনি। তারা জনগণের টাকায় ব্যবসা করে। আমি বলব, দেশের মানুষের সঙ্গে বেঈমানী করবেন না। মানুষকে ঠকাবেন না। আর করলে ফল ভালো হবে না।
বিএনপির কর্মসূচির ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার পতন না হওয়া পর্যন্ত চলমান আন্দোলন শিথিল করার কোনো সুযোগ নেই। আরো কঠিন কর্মসূচী দেওয়া হবে।