বাংলাদেশে সম্প্রতি একটি বিষয় নিয়ে শুরু হয়েছিল নানা ধরনের আলোচনা সমালোচনা। আর এই বিষয়টির নাম হলো আয়নাঘর। বাংলাদেশ সরকারের গোপন বন্দিসালা এটি এমন দাবি করেছে অনেক বিদেশী সংবাদ মাধ্যম। এ দিকে এ নিয়ে এবার একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন জুলকারনাইন। পাঠকদের উদ্দেশ্যে তার সেই লেখনী তুলে ধরা হলো হুবহু :-
আওয়ামী লীগের এক মধ্য সারির নেতার সাথে কথা হচ্ছিলো (পেশাগত কারনে অনেক রাজনৈতিক দলের ব্যক্তিদের সাথেই আমাকে কথা বলতে হয়)। তো কথোপকথনটা কেমন ছিলো তার একটি অংশ হুবূহু নীচে উল্লেখ করছিঃ
আওয়ামী নেতাঃ সায়ের ভাই, এইযে আপনারা আয়নাঘর দেখাইলেন, এসব তো বিএনপির হাওয়াভবনের কাছে কিছুই না!
আমিঃ কিভাবে ঠিক একটু বুঝিয়ে বলেন? আমার জানামতে সেটা তো একটা রাজনৈতিক কার্যালয় ছিলো?
আওয়ামী নেতাঃ আয়নাঘরও ভাই একটা কার্যালয়, এখানে মানুষজনরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হইতো এই আরকি! আর আমাদের নেত্রী যদি তেমনই হইতো তাইলে আর আয়নাঘর হইতো না ভাই, আপনারা আয়নাভবন পাইতেন ওই বিএনপির হাওয়াভবনের মত। পাইছেন তো শুধু একটা ঘর।
আমিঃ বেশ ভালোমত থতমত হয়ে গেলাম এবং পাল্টা প্রশ্ন করলাম, তাহলে কি ভবিষ্যতে আয়নাভবনের পরিকল্পনা আছে?
আওয়ামী নেতাঃ হাই কমান্ড বলছে ক্ষমতায় টিকা থাকার জন্যে যা যা করা দরকার তার সবই করতে হবে, আয়নাভবনই না যদি আয়না টাওয়ার বানাইতে হয় ওইটাও করবো।
বি.দ্র. সঙ্গত কারনেই তার নাম ও বিস্তারিত আমি প্রকাশ করবোনা, সুত্রের নাম গোপন থাকবে এই শর্তেই তিনি আমাকে এটি পোস্ট করার অনুমতি দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, এ দিকে আয়নাঘর নিয়ে এখননো নীরবতা পালন করছে বাংলাদেশ সরকার। সরকার পক্ষ থেকে বার বার বলা হচ্ছে আয়নাঘরের কোনো ধরণের অস্তিত্ব নেই। তবে এ নিয়ে এখনো দেশজুড়ে চলছে নানা ধরনের আলোচনা সমালোচনা।