বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা যার আরেকটি পরিচয় তিনি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। তবে তার সব থেকে বড় পরিচয় তিনি আওয়ামীলীগ এর সভাপতি। পঁচাত্তর বছর পর বিদেশে প্রবাসে থাকা অবস্থায় শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের ত্রয়োদশ কাউন্সিলের সভাপতি নির্বাচিত হন। দেশে ফিরে তিনি দলের হাল ধরেন। এরপর ৪ দশক ধরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। দলকে সুসংগঠিত করেছেন। তার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ টানা তৃতীয় ও চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায়।
শেখ হাসিনা টানা ৪১ বছর রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করছেন। নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত প্রতিটি নেতাকর্মীর কাছে শেখ হাসিনা ঐক্যের প্রতীক। তিনি দলের জন্য অপরিহার্য ব্যক্তিত্ব। নেতাকর্মীরা কোনোভাবেই তার বিকল্প ভাবতে রাজি নয়। তাদের কাঙ্খিত নেতা আজীবন নেতৃত্ব দেবেন দলকে।
শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশনে সভাপতির সমাপনী বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলকে বিদায় জানান।
দেশ-বিদেশ থেকে আগত কাউন্সিলদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমি যেখানেই আছি, আপনাদের সঙ্গে আছি। আমি চাই আপনি নতুন নেতা নির্বাচন করুন। দলকে সংগঠিত করুন। নতুন আসতে হবে। পুরাতনের সাথে আউট, নতুনের সাথে – এটাই প্রচলিত নিয়ম।
এ সময় উপস্থিত কাউন্সিলররা ‘না না’ বলে চিৎকার করতে থাকেন। তাদের দাবি- ‘আপনার কোনো বিকল্প নেই।’
প্রসঙ্গত, এ দিকে এবারও আওয়ামীলীগের সভাপতি থেকেই দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিবেন শেখ হাসিনা। এ ছাড়াও জানা গেছে এবারের সম্মেলনে ঘোষিত নতুন কমিটিতে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন নেই। টানা দশমবারের মতো আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দেবেন শেখ হাসিনা। আর ওবায়দুল কাদের টানা তৃতীয়বারের মতো দলের দ্বিতীয় শীর্ষ পদে নেতৃত্ব দেবেন।