ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যকার এই খেলায় দুর্দান্ত পারফর্ম করেছিল পাকিস্তান। কিন্তু তা সত্বেও দলটিকে হেরে যেতে হলো। তবে পাকিস্তান ক্রিকেট প্রেমীরা বলছেন, আইসিসির নতুন নিয়মের কারণে পাকিস্তানকে পরাজয় বরণ করে মাঠ ছাড়তে হলো। তবে আইসিসির নতুন নিয়ম ভারতের খেলোয়াড়েরা কিছুটা হলেও সুযোগ লাভ করেছে, যেটা ভারতের অনেক ক্রিকেট ভক্তরাও বলছেন।
মাঝারি টার্গেট থাকলেও দুর্দান্ত বোলিংয়ে ম্যাচটিকে শেষ ওভার পর্যন্ত নিয়ে যায় পাকিস্তান। বাবর আজমদের ১৪৮ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে শেষ ৩ ওভারে ভারতের দরকার ছিল ৩২ রান। তারপরও জয়ের ব্যবধান ছিল প্রায় সমান সমান। দর্শক জরিপে ভারতের জয়ের শতাংশ দেখা গিয়েছিল ৫৪।
এমন পরিস্থিতিতে আইসিসির নতুন নিয়মের সুযোগ নিল ভারত, কপাল পুড়ল পাকিস্তানের। অনেকের মতে, আইসিসির নিয়মে ভারত জয়ী!
সেই নিয়ম কি?
টি-টোয়েন্টিতে সাধারণত অধিনায়ক শেষ ৩ ওভারে চারজন ফিল্ডারকে ৩০ গজের বৃত্তে রাখেন। পাঁচজনকে পাঠায় বাউন্ডারিতে, যাতে চার আটকানো যায়, উড়িয়ে মারা শট ক্যাচআউট করা যায়। কিন্তু রোববারের ম্যাচে তা করতে পারেননি পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম।
আইসিসির নতুন নিয়ম, যা এই বছরের ১৬ জানুয়ারী থেকে কার্যকর হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে যে, স্লো ওভাররেটের কারণে ফিল্ডিং দল শাস্তি পাবে। সেক্ষেত্রে ফিল্ডিং দলকে ৩০ গজের বৃত্তে একজন বেশি খেলোয়াড় রাখতে হবে। তার মানে একজন কম খেলোয়াড়কে বাউন্ডারিতে রাখা যাবে।
সেই নিয়মের শিকার হয়ে পাকিস্তানকে সীমানা ফাঁকা রাখতে হয়েছে। সেখান থেকে একাধিক বাউন্ডারি মারেন জাদেজা-পান্ডিয়া। বিশ্লেষকদের বিশ্লেষনে এই বিষয়টি গুরুত্বপূর্ন হয়ে ধরা দিয়েছে যে, এই একটি কারণেই ভারতের ম্যাচ জেতানোর ক্ষেত্রে নিয়মটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
তাদের মতে, সেই নিয়ম তখন ‘গেম চেঞ্জার’ হয়ে ওঠে। ভারতের একাধিক সীমানা দেখে বাবর নিশ্চয়ই ভেবেছেন, ইস! যদি আর একজন ফিল্ডারকে বাউন্ডারিতে রাখা যেত। তবে ম্যাচজয়ী নায়ক হার্দিক পান্ডিয়া বিশ্বাস করেন না যে তিনি সেই নিয়ম থেকে কোনও সুবিধা পেয়েছেন।
তিনি বলেন, শেষে ওভারে ৭ রান আমার বেশি মনে হচ্ছিল না। বাঁহাতি স্পিনার ছিল। আমি পাঁচজন ফিল্ডার নিয়ে মাথা ঘামাইনি। পাঁচজন ফিল্ডার থাকলে কী হবে, ১০ জন ফিল্ডার থাকলে আমি উড়িয়ে মারতে হতো।
জয়ের জন্য শেষ ওভারে দরকার ৭ রান। প্রথম বলেই জাদেজাকে বোল্ড করেন মোহাম্মদ নওয়াজ। এরপর প্রথম বলেই ১ রান করে হার্দিক পান্ডিয়াকে স্ট্রাইক করেন দিনেশ কার্তিক। স্ট্রাইকে আসা নওয়াজের তৃতীয় ডেলিভারিতে রান পেতে পারেননি হার্দিক। ৩ বলে ৬ রান দরকার। ৪র্থ বলে ছক্কা মেরে দলকে জেতান এই অলরাউন্ডার।
তবে গেম চেঞ্জার আইসিসির নতুন নিয়ম শুধু ভারতের ক্ষেত্রে নয় সব দলের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য এমনটি জানিয়েছেন পাকিস্তান ক্রিকেট ভক্তরা। যেহেতু এটা ক্রিকেটের নিয়ম সেহেতু সব দলকেই এটা মানতে হবে। ভারত সুবিধা পেয়েছে এটা বলা বোকামি হবে কারণ নিয়ম তো নিয়মই, এমনটি বলছেন অনেক ক্রিকেট ভক্তরা।