২০১৯ সালের মার্চ ( March ) মাসে রুবেলের ( Rubles ) মস্তিষ্কের টিউমার ধরা পড়ে। নিউরোসার্জন এলভিন হং-এর তত্ত্বাবধানে সিঙ্গাপুরে ( Singapore )র মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ১৯ মার্চ ( March ), ২০১৯-এ তার সফল অস্ত্রোপচার হয়। এরপর দেশে ফিরে আসেন। কিন্তু কেমো ও রেডিওথেরাপির জন্য তাকে নিয়মিত সিঙ্গাপুরে ( Singapore ) আসা যাওয়া করতে হয়। শেষ কেমো দেওয়া হয়েছিল ওই বছরের ডিসেম্বরে। তিনি এক বছর ধরে ফলোআপে ছিলেন। সম্প্রতি তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে দ্রুত চিকিৎসকের স্বরনাপন্য করা হয়।
মঙ্গলবার আইসিইউ থেকে কেবিনে ফিরে আসেন রুবেল। হাসপাতালের ( Rubles. hospital ) কেবিনে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে নড়াচড়া শুরু করেন ক্রিকেটার মোশাররফ হোসেন ( Mosharraf Hossain ) রুবেল। পাশে দাড়িয়ে থাকা ফারহানা চৈতি ( Farhana Chaiti ) রুপার দিকে তাকিয়ে ছিল। পরিচয় করিয়ে দিলে তিনি মাথা নেড়ে ম্লান গলায় বললেন, চিনতে পেরেছেন। রুবেলও স্ত্রীর প্রশ্নের উত্তর দেন ভালো আছি। স্ত্রী যখন তার পাশে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন, তখন তিনি কেবিনে থাকা টিভির দিকে তাকিয়ে ছিলেন। বিকেলে ( afternoon ) শুরু হওয়া বাংলাদেশের ( Bangladesh ) খেলা দেখবেন কিনা জানতে চাইলে রুবেল বলেন, হ্যা আমি খেলা দেখব।
স্বস্তি হলো রুবেলের ( Rubles ) জ্ঞান ফিরেছে। কথা বলছে, সবাইকে চিনছে, মাঝে মাঝে হাসছে । কিন্তু খাবার খেতে না পেরে শরীরের দুর্বলতা কমেনি। জীবনযুদ্ধে রুবেলের ( Rubles ) সার্বক্ষণিক সঙ্গী তার স্ত্রী চৈতি। স্বামীর সেবা করার পাশাপাশি তিনি কেবিনে বসে ল্যাপটপে অফিসের কাজ করছেন। রুবেলের ( Rubles ) অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে, মুখে স্বস্তির ছাপ। তিনি বলেন, ডাক্তার কেবিনে কিছুক্ষন পর্যবেক্ষণ রাখবেন। তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। চৈতি বলল, এখন সে সব বুঝতে পারে। কিছু জিজ্ঞেস করলে উত্তর দেয়। সবই চিনতে পারে তবে এখনো হাসপাতালে আছি, তাই অবস্থা একটু ভালো। আশা করি কয়েকদিনের মধ্যে চলে যেতে পারব। কয়েকদিন আগে হুইল চেয়ারে বসা রুবেলের ( Rubles ) ছবি দেখে হতবাক হয়েছিলেন সবাই। রুবেলের ( Rubles ) নিষ্পাপ দৃষ্টি, তার মায়াবী হাসি, তার সরলতা দেখে তার চোখে জল এসে গেল। দুই দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগের ওয়ালে ছড়িয়ে পড়ছে ছবিটি।
উল্লেখ্য, সুস্থ ও স্বাভাবিক অবস্থায় ২০২০ সালে মাঠে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু নভেম্বরে ( November ) আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন এই জনপ্রিয় বাংলাদেশী ক্রিকেটার। ২০২১ সালের জানুয়ারী মাসের শেষ সপ্তাহে একটি এমআরআই করার পর দেখা যায় যে পুরানো টিউমারটি আবার বাড়ছে। এরপর থেকে আবার কেমোথেরাপি শুরু হয়। সম্প্রতি তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিউতে ( ICU ) ভর্তি করা হয়েছিল। তবে তাকে বর্তমানে আইসিউ থেকে কেবিনে নেওয়া হয়েছে।