ইত্যাদি খ্যাত সংগীত শিল্পী আকবরের শারীরিক অবস্থা গুরুতর খারাপ হওয়ার জন্য তাকে আজ লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে। রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে জরুরী সেবা বিভাগে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আজ বুধবার অর্থাৎ ৯ ডিসেম্বর খুব সকালে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয় বলে জানা গেছে। আকবরের মেয়ে অথৈ তার বাবার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে একটি সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
বিকেলে অথৈ বলেন, “আব্বার সাথে লাইফ সাপোর্টে একটু কথা হয়েছে। মুখ খুলতেই মুখ দিয়ে রক্ত ঝরছিল। কথা বলতে পারছে না, তারপরও বাবা অনেক কষ্টে আমাকে বললেন, ‘মনে হচ্ছে। যে আমি আর বাঁচব না, কিছু একটা হবে। বাবার কথা শুনে আমার খুব কষ্ট হচ্ছিল। চোখে পানি চলে আসছিল, তবুও আমি তাকে সান্ত্বনা দিলাম শক্ত থাকার জন্য।
আকবরের মেয়ে যোগ করে বলেন, “ডাক্তাররা আমার বাবাকে বাঁচানোর জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন। তবে পরিস্থিতি আরও নাজুক। এই অবস্থায় একমাত্র আল্লাহই পারে বাবাকে বাঁচাতে। সবাই আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন।”
দীর্ঘদিন ধরে নানা রোগে ভুগছিলেন আকবরের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ৫ নভেম্বর বিকেলে সেখানে ভর্তি করা হয়।
আকবর দুই বছর ধরে ডায়াবেটিস, জন্ডিস, কিডনি, রক্তের প্রদাহসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। অনেক চিকিৎসা করেও তিনি সুস্থ হতে পারেননি। দুটি কিডনি বিকল হওয়ায় শরীরে পানি জমে তার ডান পা নষ্ট হয়ে গেছে। দুই সপ্তাহ আগে অ’স্ত্রোপচার করে ওই পা কেটে ফেলা হয়। পা কেটে ফেলার পর তার কিডনি ও লিভারের সমস্যা আরও বেড়ে যায়। এ কারণে তাকে ভারতে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা আর সম্ভব হলো না। এর আগে আকবরের চিকিৎসার জন্য ২০ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উল্লেখ্য, প্রায় দেড় দশক আগে বিটিভির জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদিতে গান গেয়ে পরিচিতি পান আকবর। তিনি ইত্যাদিতে বেশ কয়েকটি গান গেয়েছেন। ‘একদিন পাখি উড়ে যাবে যে আকাশে’ গানটির মাধ্যমে অধিক জনপ্রিয়তা পান তিনি। সেই সময় পেশায় একজন রিকশাচালক ছিলেন আকবর। সেই জনপ্রিয়তার পর তার জীবন অনেকটাই বদলে যায়। এরপর তিনি রিকশা চালানো ছেড়ে গাড়ির দিকে মনোনিবেশ করেন।