ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের প্রথমবারের মতো দল পাননি সাকিব আল হাসান। টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে দুই নম্বরে থাকলেও কোনো দলই তাকে নিয়ে আগ্রহ দেখায়নি। আপিএলের পর এবার বিপিএলেও ঘটে গেল একই ঘটনা জানা গেলে বিপিএলেও সাকিবের কোন অবস্থান নেই।
আসন্ন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) সাতটি দলের জন্য সাতটি ফ্র্যাঞ্চাইজি নির্ধারণ করেছে টুর্নামেন্টের গভর্নিং কাউন্সিল। ইতিমধ্যেই এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সাতটি ভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজির নাম ঘোষণা করেছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল।
যেখানে সাকিব আল হাসান, মোনার্ক মার্ট বা মোনার্ক হোল্ডিংসের কোনো ব্যবসা নেই। তবে আয়োজক কমিটি জানানোর আগেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিপিএলে সাকিবের ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে ভালোই আলোচনা হয়েছে।
তবে সাকিব বা তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কেউই বিপিএলে দলের জন্য আবেদন করেননি। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক এ তথ্য জানিয়েছেন। সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে মল্লিক বলেন, অতীতে যারা বিপিএলের সঙ্গে ছিলেন তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এছাড়া নিজের নামে কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য আবেদন করেননি সাকিব আল হাসান।
তবে আবেদন করলেও ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক হতে পারতেন না সাকিব। বিপিএলের নীতিমালায় এমন কোনো নিয়ম নেই। বিষয়টি জানিয়ে ইসমাইল হায়দার মল্লিক আরও বলেন, বিপিএলে অংশগ্রহণের পাশাপাশি কোনো খেলোয়াড় ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক হতে পারবেন না।
বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিল জানিয়েছে, এবারের আসরে মোট ১১টি প্রতিষ্ঠান ফ্র্যাঞ্চাইজি হওয়ার জন্য আবেদন করেছে। এর মধ্যে আয়োজক কমিটি তাদের পছন্দের ৭টি প্রতিষ্ঠানকে বেছে নিয়েছে। এর মধ্যে ৬টি প্রতিষ্ঠান পুরাতন, ১টি নতুন। যদি তাদের মধ্যে কেউ ১৫ দিনের মধ্যে টাকা জমা দিতে বা একটি দল গঠন করতে ব্যর্থ হয় তবে বাকি ৪টি সংস্থার যে কোনও একটি সুযোগ পেতে পারে।
এবারের বিপিএলে শাকিবের কোন অবস্থান না থাকায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন সাকিব ভক্তরা। তবে বিপিএলে অংশ নেওয়ার জন্য শাকিবের হাতে এখনো পর্যাপ্ত পরিমাণে সময় রয়েছে। সাকিব ভক্তরা সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন পোষ্টের মাধ্যমে জানিয়েছে যেভাবেই হোক সাকিবকে এবার বিপিএলে দেখতে চায়।