Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Countrywide / আইন করা বাধ্যতামূলক হয়ে গেছে, একই বিষয়ে বারবার আলাপ করেও সমাধান না হওয়া দুর্ভাগ্য: মেনন

আইন করা বাধ্যতামূলক হয়ে গেছে, একই বিষয়ে বারবার আলাপ করেও সমাধান না হওয়া দুর্ভাগ্য: মেনন

নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে চলছে বেশ কিছুদিন তাবৎ আলোচনা। সেখানে রাষ্ট্রপতি বিভিন্ন দলকে ডেকে পাঠাচ্ছে নির্বাচন কমিশন গঠন করার উদ্দেশ্যে। তবে বেশিরভাগ দল গেলেও কয়েকটি দল যাচ্ছে না সেখানে। আজকে আবারো ওয়ার্কার্স পাটির সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সংলাপ হয়। সংলাপ শেষে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন কিছু কথা বলেন সংবাদমাধ্যমে। সেই সাথে ক্ষোভও প্রকাশ করেন বার বার এসেও সমাধান না হওয়ায়।

ওয়ার্কার্স পাটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, তিন দফা সংলাপে আসা হল। এটা দুর্ভাগ্য যে, এক‌ই বিষয় নিয়ে বারবার আলাপ করেও সমাধান হচ্ছে না। নির্বাচন কমিশন (ইসি) আইন করা বাধ্যতামূলক হয়ে গেছে। ইসি গঠনে রাষ্ট্রপতির ডাকা সংলাপে যোগদান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে রাশেদ খান মেননের নেতৃত্বে সাত সদস্যের প্রতিনিধি দল বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে আলোচনায় যোগ দেন।

রাশেদ খান মেনন আরও বলেন, আইন ছাড়া নির্বাচন কমিশনের উপর আস্থা আসবে না। সরকারী দলসহ সবাই এটির পক্ষে। কাজেই রাষ্ট্রপতি চাইলেই এটি করা সম্ভব। বছরের শুরুতেই যে অধিবেশন হবে, সেখানেই এই আইন করা সম্ভব। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদও আইনটা হোক, তা চান বলে জানিয়েছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি।

নির্বাচন কমিশনার প্রসঙ্গে রাশেদ খান মেনন বলেন, একজন কার্যক্ষম নির্বাচন কমিশনার দরকার। যিনি আইনের প্রয়োগ করতে পারবেন।

সাত সদস্যের প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন দলটির পলিটব্যুরোর সদস্য আনিসুর রহমান মল্লিক, মাহমুদুল হাসান মানিক, নুর আহমদ বকুল, কামরূল আহসান, আলী আহমেদ এনামুল হক এমরান এবং কমরেড নজরুল ইসলাম হাক্কানী।

২০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া রাষ্ট্রপতির সঙ্গে এই সংলাপে প্রথম রাজনৈতিক দল হিসেবে জাতীয় পর্টি অংশ নেয়। ওই আলোচনায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছিলেন, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার এই উদ্যোগ।

উল্লেখ্য, বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। পরদিন নতুন কমিশন দায়িত্ব গ্রহণ করার কথা রয়েছে।

যেহেতু রাষ্ট্রপতি সহ বেশিরভাগ দলই মনে করছে নির্বাচন কমিশন গঠন করার কথা হয়ত একটা আইনের দরকার। তবে এখন দেখার বিষয় শেষমেষ সব দল আসে কিনা নির্বাচন কমিশন গঠনের বৈঠকে। আর যদি না আসে তখন রাষ্ট্রপতিসহ বাকি দলগুলো কোন আইন তৈরি করে কিনা। যদিও এসব খবর এখনই সংবাদমাধ্যম কিছু বলতে পারবে না কারণ সুস্পষ্ট কোনো খবর আমাদের হাতে এখনো আসেনি।

About Ibrahim Hassan

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *