গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি এবং ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, “আগে রাষ্ট্র সংস্কার ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ করতে হবে, পরে নির্বাচনের কথা ভাবতে হবে।”
রবিবার (১ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে পটুয়াখালী শহরের টিনপট্টি এলাকার গণঅধিকার পরিষদ জেলা কার্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত ‘জুলাই বিপ্লব ও নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে জনআকাঙ্ক্ষার রাজনীতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
নুর বলেন, বর্তমান সরকার বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ জনসমর্থন পাওয়া সরকার। তিনি অভিযোগ করেন, “ডান, বাম, বিএনপি ও জামায়াতসহ সব রাজনৈতিক দল এ সরকারকে সমর্থন করেছে। অনেক জায়গায় সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চাঁদাবাজ-মাফিয়াদের দমন করছে। তাদের ইনকাম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে, তারা দ্রুত নির্বাচন চায়। যাতে তড়িঘড়ি করে ক্ষমতায় বসে আবারও ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে পারে।’
তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে বলেন, “কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দলের প্রতি গুরুত্ব না দিয়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও আইনশৃঙ্খলা উন্নয়নে নজর দিন। জনগণের ক্ষোভ বাড়ছে, প্রশাসনের মধ্যে মাথাচাড়া দিয়ে উঠা গোষ্ঠীগুলোর দিকেও নজর রাখা জরুরি।”
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির গুরুত্ব উল্লেখ করে নুর বলেন, “বিদেশি এজেন্টরা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ব্যবহার করে দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা করছে। তবে সরকার কঠোর হাতে তাদের প্রতিহত করেছে। দিল্লির চাপে দেশকে গোলামি থেকে মুক্ত রাখতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।”
এ সভায় পটুয়াখালী শহরের শতাধিক সনাতন ধর্মাবলম্বী পরিবার নুরুল হক নুরকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে গণঅধিকার পরিষদে যোগ দেন।
গণঅধিকার পরিষদের পটুয়াখালী জেলা শাখার আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম লিটুর সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা ইউনিটের নেতৃবৃন্দ এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
নুর সতর্ক করে বলেন, “যদি কেউ চাঁদাবাজি বা দখলের মাধ্যমে নিজের স্বার্থ হাসিল করতে চায়, তাহলে দেশে আবার ফ্যাসিবাদের সৃষ্টি হবে এবং গণআন্দোলনের অর্জিত সফলতা ধ্বংস হয়ে যাবে।”