Thursday , September 19 2024
Breaking News
Home / Countrywide / আইজিপি পরিচয়ে বিত্তশালী ও বিভিন্ন ব্যাংকে ফোন করে চাঁদা দাবি ও চাকরির সুপারিশ করত যুবক

আইজিপি পরিচয়ে বিত্তশালী ও বিভিন্ন ব্যাংকে ফোন করে চাঁদা দাবি ও চাকরির সুপারিশ করত যুবক

দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় সময় সংবাদ উঠে আসে যে কিছু ব্যক্তি নানা রকম প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত হয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়। এমনকি কিছু ব্যক্তি সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার পরিচয় দিয়েও চাঁদা দাবি করে বলে অভিযোগ উঠে আসে। এই সকল ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ওই সকল ব্যক্তিদের গ্রেফতরা করার চেষ্টা করে আর এবার তেমনি এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে যিনি নিজেকে আইজিপি পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন লোককে ফোন করতেন। আর তিনি ফোন করেই টাকা দাবে করতেন। এবার এই ব্যক্তির সম্পর্কে বিস্তারিত সংবাদ উঠে এলো।

আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদের নামে ইমেইল, ট্রু-কলার এবং হোয়াটসঅ্যাপ খুলে বিত্তশালী ও বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাংকে ফোন দিত প্রতারক। কারও কাছে চাইতেন টাকা, কাউকে চাকরির সুপারিশ।

আইজিপির নামে প্রতারণা করা ওই ব্যক্তির নাম মো. আরিফ মাইনুদ্দিন (৪৩)। তিনি ম্যারিজ ডটকম নামে একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতেন।

সোমবার রাজধানীর ঝিগাতলা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ বিষয়ে মঙ্গলবার সিআইডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেন সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন।

তিনি বলেন, আসামি একটি মোবাইল নম্বরে বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে আইজিপির ছবি ও পদবি ব্যবহার করে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খুলে বিভিন্ন দফতর, বাণিজ্যিক ব্যাংকের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের ফোন করে নিজেকে আইজিপি হিসেবে পরিচয় দিতেন। এই পরিচয় দিয়ে অবৈধ সুবিধা নিয়ে আসছিলেন। এসব অপকর্মে তিনি ০১৯২৬৪৫০৬০৯ নম্বরের একটি সিম কার্ড ব্যবহার করতেন।

আরিফ মাইনুদ্দিন গত ২৬ আগস্ট এক্সিম ব্যাংকের হেড অফিসের হটলাইন নম্বরে এবং অ্যাসোসিয়েশন ব্যাংক অব বাংলাদেশ লিমিটেডে ফোন দেন। এর তিনদিন পর মার্কেন্টাইল ব্যাংকে ফোন দিয়ে ড. বেনজীর আহমেদের নাম বলে অনৈতিক ও আর্থিক সুবিধা নেওয়ার জন্য বিভিন্ন কথা বলে ভ”য়ভীতি দেখান।

অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন বলেন, আসামি তার কর্মচারীর জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে সিমটি কিনে প্রতারণা করতেন। সম্প্রতি আইজিপি অফিস থেকে ফোন পেয়ে আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করি। সে বিভিন্ন ব্যাংকগুলোতে ফোন দিয়ে চাকরি চায়, আবার টাকাও চায়। তবে এ পর্যন্ত কারও কাছ থেকে টাকা আদায় করতে পারেননি।

তিনি আরও বলেন, আটক আরিফ বাংলাদেশের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সাইন্সে মাস্টার্স করেছেন। তিনি ঢাকা ব্যাংকে চাকরি করতেন। সেখান থেকে চাকরিচ্যুত হন। এরপরই এই অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন। আসামির বিরুদ্ধে হাজারীবাগ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে।

আরিফ মাইনুদ্দিনের বাবা নুর মোহাম্মদ বিএসসি, মা-রাশেদা বেগম। তার বাড়ি কক্সবাজারের চকরিয়া থানার কাহারিয়াঘোনা গ্রামে। থাকতেন রাজধানীর ধানমন্ডির জিগাতলা রোডে। হক ম্যানশনের ৪র্থ তলায় থাকতেন। তার মূল ব্যবসা বিয়ের ঘটকালি।

বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু অসাধু ব্যক্তি এমন ভাবে প্রতারণা করে থাকেন বলে অভিযোগ উঠে আসে। এমনকি কিছু অসাধু ব্যক্তি সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে বিত্তশালী ব্যক্তিদের ফোন দিয়ে নানা রকম হয়রানি ও ভয়ভীতি দেখায়। তবে অনেক সময় এই সকল প্রতারক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অেনেক অভিযোগ তোলার সাহস পায় না। কিন্তু এবার এই প্রতারক ব্যক্তি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়েছেন। এই ব্যক্তি মূলত ঘটকালি করতেন। এর পাশাপাশি তিনি প্রতারণা করতেন বলে অভিযোগ উঠে এলো।

About

Check Also

আ.লীগ ও তৃণমূল থেকে বিএনপিতে যোগদানের হিড়িক

নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিএনপিতে যোগদানের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *