দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও দলটির ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
হাইকোর্টের আদেশে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক আবুল কাশেমের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন আমান। শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।
এরপর আমানকে অ্যাম্বুলেন্সে করে কারাগারে পাঠানোর শুনানি করেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। এছাড়া সাবেক মন্ত্রী ও ডাকসুর সাবেক ভিপি আমান কারাগার কর্তৃপক্ষকে জেল কোড অনুযায়ী প্রথম শ্রেণির ডিভিশন এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল/বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশনা দেন। শুনানি শেষে আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন।
আমানের আরেক আইনজীবী সৈয়দ নজরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ৩ সেপ্টেম্বর আমানের স্ত্রী সাবেরা আমান আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এরপর ৫ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার জজ আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ ও নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য ১৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
এর আগে গত ৭ আগস্ট নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চের ২৮১ পৃষ্ঠার প্রকাশিত রায়ে বিচারপতি মো. রায়ে বলা হয়েছে, রায়ের অনুলিপি পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে আমান দম্পতিকে বিচারিক (নিম্ন) আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে।
সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ৬ মার্চ রাজধানীর কাফরুল থানায় আমান দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
ওই বছরের ২১ জুন বিশেষ জজ আদালতের রায়ে আমানকে ১৩ বছর ও সাবেরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে ওই দম্পতি রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন। ১৬ আগস্ট, ২০১০ হাইকোর্ট আপিল মঞ্জুর করে এবং তাদের খালাস দেয়।
২০১৪ সালের ২৬ মে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আপিল করলে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বাতিল করে মামলার পুনঃশুনানির আদেশ দেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৪ মে পুনঃশুনানি শেষ হয়। ৩০ মে হাইকোর্ট এ মামলায় আমানের ১৩ বছরের কারাদণ্ড এবং সাবেরা আমানের তিন বছরের কারাদণ্ড বহাল রাখেন।