বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বড় দুটি রাজনৈতিক দল বিএনপি ও আওয়ামীলীগের দেশে নির্বাচন ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার এ দুটি দলের দায়িত্ব বেশি। দেশে গনতন্ত্র টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব রয়েছে বলে জানান তথ্যমন্ত্রী। এ কারনে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত ক্ষেত্রে প্রতিটি দলের অংশগ্রহন করা আবশ্যক। রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে অংশগ্রহন না করলে গনতন্ত্র হুমকির মধ্যে পড়বে। নির্বাচন বর্জনের সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে বলে মন্তব্য করে এ প্রসঙ্গে যা বললেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমরা নির্বাচন বর্জন ও প্রতিহতের সংস্কৃতি লালন করি। নির্বাচন বর্জনের সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
বুধবার (১০ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর গুলশান-২ লেকশোর হোটেলে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল আয়োজিত রাজনৈতিক ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্মের জাতীয় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, গণতান্ত্রিক সরকার দেশ চালাচ্ছে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা কোনো একক দলের দায়িত্ব নয়। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থাকে সমুন্নত রাখার দায়িত্ব সব রাজনৈতিক দলের। আমাদের বিগত ৫০-৫১ বছরের ইতিহাসে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা তখনই হুমকির মুখে পড়েছে যখন কেউ অ/স্ত্র উঁচিয়ে রাষ্ট্রের ক্ষমতা দখল করেছে। অ/স্ত্র উঁচিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে আবার ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে দল গঠিত হয়েছে তখন আমাদের দেশের গণতন্ত্র হুমকির মুখে পড়েছে।
গণতান্ত্রিক রীতিনীতির চর্চার কথা উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা ও রীতিনীতির চর্চা একটি সম্মিলিত রাজনৈতিক দায়িত্ব। নির্বাচন এলে নির্বাচন বয়কটের সংস্কৃতি গড়ে তুললে গণতান্ত্রিক সমাজ টিকিয়ে রাখা কঠিন হবে। আশা করি নির্বাচন বর্জনের সংস্কৃতি থেকে আমরা বেরিয়ে আসব। সবকিছুকে না বলার রাজনৈতিক সংস্কৃতি আমাদের রাজনীতিতে তিক্ততা যোগ বাড়িয়েছে। আমি আশা করি, আগামী নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করবে। একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে আগামী সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, গত ৫০ বছরে বাংলাদেশ যে বন্ধুত্ব বজায় রেখেছে তাতে যুক্তরাষ্ট্র গর্বিত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে যে জনগণের জন্য সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন করা একটি কঠিন কাজ। যেখানে সমাজের সকল স্তরের অংশগ্রহণ প্রয়োজন। সরকারসহ সবাইকে তা নিশ্চিত করতে হবে। তাদের কেউ বাধা দিলে সুষ্ঠু নির্বাচন করা কঠিন হয়ে পড়ে।
বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ। অনুষ্ঠানে দেশজুড়ে বাংলাদেশি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও রাজনীতি বিষয়ে আগ্রহীদের রাজনৈতিক জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের পথ সুগম করতে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের বাস্তবায়নে, ইউএসএআইডি-এর স্ট্রেংদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ প্রকল্পের অধীনে politicsmatters.com.bd নামে একটি ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্মের উদ্বোধন করা হয়।
প্রসঙ্গত, দেশের গনতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে সকল দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহন করা গুরুত্বপূর্ন বলে মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি গনতন্ত্রের তাগিদে সকল দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহনের কথা জানান।