অবৈধ ক্যাসিনো কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি নানা দুর্নীতি-চাঁদাবাজির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে আজ সোমবার (২৫ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে উপস্থিত করানোর দিন ধার্য ছিল। তবে শারীরিক অসুস্থার কারনে সম্রাটকে এ দিনে আদালতে হাজির না করে কাস্টডি ওয়ারেন্ট পাঠিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।
কাস্টডি ওয়ারেন্টে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ উল্লেখ করেন, আজ সম্রাটকে আদালতে হাজির করার দিন ধার্য রয়েছে। সম্রাট ২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর থেকে চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি রয়েছেন। তাই তাকে আদালতে হাজির করা সম্ভব হয়নি।
রোববার (২৫ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণের দিন ধার্য রয়েছে।
এর আগে ২২ সেপ্টেম্বর ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে কারাগার থেকে ২৫ অক্টোবর আদালতে হাজির করার (প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট) নির্দেশ দেন আদালত।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেফতার করে র্যাব। পরে তাকে নিয়ে দুপুর দেড়টার দিকে তার কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। এসময় ভেতর থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, পিস্তল ও বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণীর চামড়া উদ্ধার করা হয়।
পরে বন্যপ্রাণীর চামড়া রাখার দায়ে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ঘটনায় ওই দিনই রাত ৯ টার দিকে কারাগারে নেওয়া হয় সম্রাটকে।
এদিকে এর আগে অবৈধ ক্যাসিনো কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সম্রাটের পাশাপাশি গ্রেপ্তার করা হয় যুবলীগের বড় বড় রাঘব বোয়ালদেরও। এমনকি আইনের হাত থেকে ছাড় পাননি ছোট ছোট চুনোপুটিও। আদালতের নির্দেশে যারা এই মুহুর্তে অন্ধকার কারাগারের চার দেয়ালের মাঝে বন্দি রয়েছেন।