অসুস্থ ভাইকে কিডনি দান করেছিলেন এক নারী।আর এ কথা বলার পর ওই নারীকে তার প্রবাসী স্বামী তালাক দেন। সেটিও আবার হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে। তালাক দেওয়া ব্যক্তিটি সৌদি আরবে কাজ করেন।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশে। বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অসুস্থ ভাইকে একটি কিডনি দান করার পরে স্ত্রীকে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে তিন তালাক দিয়েছেন এক ব্যক্তি। লোকটি সৌদি আরবে কাজ করেন এবং তার স্ত্রী উত্তরপ্রদেশের বাইরিয়াহি গ্রামে বসবাস করেন।
এনডিটিভি বলছে, ভুক্তভোগী ওই স্ত্রী তার একটি কিডনি দান করে ভাইকে বাঁচানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে ঘটনাটি প্রকাশ পায়। মহিলাটি আশা করেনি যে তার অসুস্থ ভাইকে বাঁচানোর এই মহৎ কাজটি তার বিবাহকে ভেঙে দেবে।
ভারতীয় এই সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ভাইকে কিডনি দেওয়ার বিষয়ে মোবাইলে একটি বার্তা পাঠানোর পরপরই তিন তালাক দেন তার স্বামী। তবে এ ঘটনায় ওই নারী থানায় অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে থানায় মামলা দায়ের করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মূলত ২০১৯ সালে ভারতে তিন তালাক প্রথাকে বেআইনি এবং অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হয়েছিল।
এনডিটিভি বলছে, মুসলিম নারী (বিবাহের অধিকার সুরক্ষা) আইনের অধীনে তিন তালাক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই আইন লঙ্ঘনে তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট বলেছে যে এই ধরনের মামলায় আগাম জামিন দিতে কোন বাধা নেই,যদি আদালত গ্রেপ্তার-পূর্ব জামিন দেওয়ার আগে অভিযোগকারী নারীর কথা শোনেন।