টাঙ্গাইল জেলার মিরপুর উপজেলাধীন একটি এলাকায় শারীরিক খারাপ কাজ করার কারণে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন ১১ বছর বয়সী এক স্কুলছাত্রী। এই খারাপ কাজের জন্য ঐ মেয়েটির দুলাভাইকে আটক করেছে আইনশৃংখলা রক্ষাকারীর বাহিনীর সদস্যরা। ঐ শ্যালিকা খারাপ কাজের বিষয়টি পরে তার পরিবারকে জানান।
বুধবার (১৭ আগস্ট) সকালে মির্জাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহফুজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) রাতে শ্বশুর বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি হলেন ঘাটাইল উপজেলার গর্জানা গ্রামের শামছুল হকের ছেলে সবুজ মিয়া (২৪)।
জানা যায়, আটক সুবজের প্রায় দেড় বছর আগে বিয়ে হয়। প্রায় সাত মাস আগে তিনি তার শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে আসেন। এ সময় বাড়িতে কেউ না থাকায় শ্যালিকাকে খারাপ কাজ করে সবুজ। পরে তাকে ভয়ভী”তি দেখিয়ে চার থেকে পাঁচবার শারীরিক খারাপ কাজে লিপ্ত হয়। মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হলেও বাড়ির লোকজন তা খেয়াল করেনি।
এদিকে ভুক্তভোগী মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের লোকজন অসুস্থতার কারণ জানতে চাইলে দুলাভাই সবুজ তার সাথে অনেক বার খারাপ কাজ করেছে বলে জানায়। পরে পরিবারের লোকজন সবুজকে শ্বশুর বাড়িতে ডেকে নেয়। এর আগে ঐ মেয়েটির বাবা সবুজের বিরুদ্ধে থানায় খারাপ কাজের জন্য অভিযোগ দায়ের করেন। পরে রাতেই সবুজকে তার শ্বশুরবাড়ি থেকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহফুজ জানান, এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়ে সবুজকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে তার শ্যালিকাকে খারাপ কাজের কথা স্বীকার করেছে।
তিনি আরো জানিয়েছেন, আজ (বুধবার) সকালের দিকে মেয়েটির বিশেষ কিছু পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। সেইসাথে অভিযোগের মামলায় আটক করে করা হয়েছে এবং পরবর্তী ব্যবস্থা হিসেবে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হবে বলেও জানান।