বাংলাদেশে যে কয়েকটি সমস্যা রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম একটি সমস্যা হলো মা’দ’ক সমস্যা। আর এই কারনে যারা মা’দ’কে’র সাথে জড়িত এবং যারা মা’দ’ক’ গ্রহণ করে তাদের আটকানোর হাজারো চেষ্টা করে যাচ্ছে সরকার। কিন্তু তারপরেও পারছে না থামাতে। আর এই কারনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল মাদক নিয়ন্ত্রণে অসহায়ত্ব প্রকাশ করে জনপ্রতিনিধি, সমাজনেতা ও সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
মঙ্গলবার রাজশাহী পুলিশ লাইন্স পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর উদ্বোধন ও মাদক ও সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সহযোগিতা কামনা করেন।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘মাদক একটি ভয়াবহ নেশায় পরিণত হয়েছে, মাদক এমন একটি লাভজনক ব্যবসায় পরিণত হয়েছে, আমরা আরও কঠোর থেকে কঠোর হওয়ার চেষ্টা করছি, আমরা আইন সংশোধন করেছি, সর্বোচ্চ শাস্তি দিয়েছি, তারপরও কীভাবে আসে। সেজন্য আপনাদের বলছি, আপনাদের সন্তানের প্রতি খেয়াল রাখুন, আপনার ভাইয়ের প্রতি খেয়াল রাখুন।’
তিনি বলেন, ‘নতুন প্রজন্মকে মাদক থেকে দূরে রাখতে না পারলে আমাদের সব স্বপ্ন ভেস্তে যাবে। আমরা ওষুধ তৈরি করি না। কিন্তু, আমরা মাদকের ভয়ানক আতঙ্ক থেকে নিরাপদ নই।’
তিনি পিতা-মাতার হত্যাকারী ঐশির কথা উল্লেখ করে মাদকের ভয়াবহতা ব্যাখ্যা করেন।
এর আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন,আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমার সরকারের যুদ্ধ চলছে। এই যুদ্ধের কারণে মাঝে মাঝে আমাদের সীমান্তেও গোলাবর্ষণ হয়। এ ব্যাপারে মিয়ানমারের বিজিবির কাছে প্রতিবাদ জানিয়েছে বিজিবি। আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও তাদের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে তীব্র প্রতিবাদ জানায়। মায়ানমার সীমান্তে বিজিবিকে চাঙ্গা করা হয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এর প্রতিবাদ করেছে, আশা করছি গুলি শীঘ্রই বন্ধ হবে।
রাজশাহীর বিএমডিএ ভবনে লাইভ সম্প্রচারে এটিএন নিউজের দুই সাংবাদিকের ওপর হামলার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকদের ওপর হামলার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মামলার ৮ দিন পার হলেও আসামি গ্রেপ্তার হয়নি, আপনারা একটু অপেক্ষা করুন, অবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষে যারা অপরাধ করেছে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে রাজশাহী সবসময় বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছে। এখানে একজন ডিআইজি, একজন পুলিশ সুপারসহ বহু মানুষ শহীদ হয়েছেন। এতদিন পরও এই জাদুঘর নির্মাণের জন্য একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পুলিশ কমিশনারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। এসময় সিনিয়র সচিব আকতার হোসেন উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্য রাখেন পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিকী।