সম্প্রতি নানা নাতি মিলে এক স্কুল ছাত্রীর সাথে খারাপ কাজ করা অভিযোগ উঠেছে। সংবাদ সূত্রে জানা যায়, ওই ছাত্রী স্কুল থেকে বাসায় ফেরার পথে বিভিন্ন ভাবে তাকে হেনস্তার করতো নাতি। যে বিষয় সম্পর্কে নানা আজিজ মিয়া সম্পূর্ণ অবগত ছিলো। সে তার নাতি কে প্রশ্রয় দিত। ঘটনাটি ঘটেছে, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ( Sundarganj Gaibandha ) ।
এই ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রীর সাথে এক পর্যায়ে নানা নাতি মিলে খারাপ কাজ করার পর নাতি পালিয়ে যাওয়ার পর নাতির সাথে ওই মেয়ের সাথে খারাপ কাজ করার চেষ্টার অভিযোগে নানা আবদুল আজিজ মিয়াকে ( Abdul Aziz Mia ) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শনিবার আসামি আজিজ মিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ মে উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের কিশামত সদর গ্রামের রাজা মিয়ার ছেলে রাসেল মিয়া তার স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে বিয়ে দিয়ে ফুসলিয়ে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। রাতে রাসেলের দাদা আব্দুল আজিজ মিয়া পশ্চিম বেলকা গ্রামের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে ছাত্রীর সাথে খারাপ কাজ করে। পরের দিন, ১৪ মে রাসেল স্কুলছাত্রীকে তার নানার বাড়িতে রেখে আত্মগোপন করে। এরপর রাসেলকে খোঁজার নামে কয়েকদিন ধরে ওই স্কুলছাত্রীকে ধ//র্ষণের চেষ্টা করে আজিজ মিয়া। রাসেলকে খুঁজে না পেয়ে আজিজ মিয়া ছাত্রীটির পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে শুক্রবার তাকে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিতে সুন্দরগঞ্জের কলেজ মোড়ে নিয়ে যায়। স্থানীয়রা দুজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
এনিয়ে থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এম এ আজিজ জানান, স্কুলছাত্রীর মা শরিফা বেগম বাদী হয়ে রাসেল ও আব্দুল আজিজ মিয়ার বিরুদ্ধে অপহরন ও ধ//র্ষনের চেষ্টার অভিযোগে মামলা করেছেন। তিনি আরও জানান, ওই স্কুলছাত্রীকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য গাইবান্ধা সদর আধুনিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, এই ঘটনায় নানা সম্পূর্ণ নির্দোষ বলে দাবি জানিয়েছেন আসামী পরিবারের সদস্যরা। তাদের দাবি ওই স্কুল ছাত্রীর সাথে ওই যুবকের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো দীর্ঘদিন ধরে। এক পর্যায়ে তারা দুই জনই সিদ্ধান্ত নেয় বাসা থেকে পালিয়ে যাওয়ার। এরপর তারা বাসা থেকে পালিয়ে ছেলের নানা বাড়িতে আশ্রয় নেয়। যে বিষয়টা সম্পর্কে মেয়ে পক্ষ অবগত হইয়া নানা ও নাতির বিরুদ্ধে থানায় মামলা করে মেয়ে পক্ষ। এর আগে ওই স্কুল ছাত্রীকে তার পিতা মাতার কাছে হস্তান্তর করা হয়। তবে এই বিষয় গুলো নিয়ে পুলিশ তদন্ত এখনো চলমান।