এবার ‘দ্যা গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ খ্যাত ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ কাতার। এই দেশটিতে বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজনকে ঘিরে দেশটিতে যাওয়া দর্শকদের জন্য বড় ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করেছে দেশটির সরকার। সেখানে বিশ্বকাপ ফুটবল দর্শনার্থীদের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে বিশ্বকাপ ফ্যান ভিলেজ, যেটা কাতারের লুসাইলে নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু এই গ্রামের নিকট হঠাৎ করেই ভয়াবহ একটি ঘটনা ঘটলো।
কাতারের লুসাইলে ফুটবল ভক্তদের জন্য নির্মিত একটি গ্রামের কাছে ভ’য়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। রাজধানী দোহার উত্তরে অবস্থিত শহরের বিশ্বকাপ ফ্যান ভিলেজে কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গেছে। তবে কোথা থেকে আগুন লেগেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। দ্য সান এবং ডেইলি মেইলের খবর।
দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, লুসাইল শহরের একটি নির্মাণাধীন ভবনে আগুন লেগেছে। শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে কর্তৃপক্ষ একটি টুইট বার্তায় দর্শক ও বাসিন্দাদের আগুন নিয়ে আত”/ঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছু ভিডিওতে দেখা গেছে, কয়েক মাইল দূরে লুসিলের বিশ্বকাপ ফ্যান গ্রামের কাছে আগুন। ছবিটি কাতারের পূর্ব উপকূলে রাজধানী দোহার উত্তরে লুসাইল শহরের ক্যানভাস তাঁবু দিয়ে তৈরি গ্রামটি দেখায়।
গত সপ্তাহে বিশ্বকাপ শুরুর অনেক আগেই ফুটবল ভক্তদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা তৈরিতে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে কাতারি সরকার। লুসাইলের সিভিল ডিফেন্স বিভাগ ইতিমধ্যেই নির্মাণাধীন ভবনে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে, দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। তবে এই অগ্নিকাণ্ডে কোনো হ”তাহতের ঘটনা ঘটেনি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটনার একটি ভিডিওতে ফ্যান ভিলেজের কাছে একটি ভবনের ছাদে আগুন লেগেছে। তবে নির্মাণাধীন ভবনে কী কারণে আগুন লেগেছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রস্তুতি হিসেবে কাতার বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামো নির্মাণে ১৮৫ বিলিয়ন পাউন্ড খরচ করেছে। মধ্যপ্রাচ্যের এই তেলসমৃদ্ধ দেশটিতে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন সাড়ে ছয় হাজারেরও বেশি অভিবাসী শ্রমিক। তাদের মধ্যে অনেক বাংলাদেশি শ্রমিক রয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা কাতারি সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছে।
মধ্যপ্রাচ্য অবস্থিত তেল সমৃদ্ধ দেশটিতে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিতে বিশাল আয়োজন সম্পন্ন করা হয়েছে। আর এই আয়োজন সম্পন্ন করতে এখানে বিপুল পরিমাণ শ্রমিকেরা প্রাণ হারিয়েছেন। তাদের সংখ্যা ৬৫০০ এরও বেশি যারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এসেছেন। এসব শ্রমিকদের মধ্যে অনেকে বাংলাদেশি শ্রমিক রয়েছেন। এই বিষয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা কাতারের কড়া সমালোচনা করেছেন।