বলিউডের পরিচিত মুখ অঞ্জলি। তার অভিনয় ক্যরিয়ার মাত্র শুরুর পথে তবে ইতিমধ্যে তিনি তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বেশ আলোচনায় উঠে এসেছেন। মাঝে মধ্যেই তাকে বিভিন্ন মন্তব্যের কারনে আলোচনায় আসতে দেখা যায় চলতি মাসে আবারো শিরোনামে উঠে আসছেন অঞ্জলি অরোরা। তবে অবশ্যই এমএমএস কান্ডের জেরে। একতা কাপুর নির্মিত রিয়েলিটি শো ‘লক-আপ’-এর মাধ্যমে পরিচিতি লাভ করেছেন অঞ্জলি। সম্প্রতি তাঁর একটি অ’শ্লী’ল এমএমএস ভাইরাল হয়েছে।
অঞ্জলি অরোরা পারেননি বলিউডের পর্দা কাঁপাতে। গুটিকয়েক মিউজিক ভিডিওতে অভিনয় করেছেন। সেই সঙ্গে কঙ্গনা রানাউতের রিয়্যালিটি শো ‘লক আপ’। তাতে কী! অঞ্জলি অরোরাকে অস্বীকার করার কোনো কারণ আছে কি?
ইউটিউব হোক বা টিকটকের রিল অথবা ইনস্টাগ্রামের পাতা- সবকিছুতেই ছড়িয়ে গিয়েছেন দিল্লির এই যুবতী। বর্তমানে একটি ভাইরাল এমএমএস বিতর্কের আঁচ থেকে নিজেকে বাঁচাতে ব্যস্ত অঞ্জলি। তবে সে বিতর্কের আগেও বহুবার তার বেফাঁস কথায় বিতর্কের ছড়িয়েছে।
ভুবন বাদ্যকারের ‘কাঁচা বাদাম’ গানের ছন্দে ঝড় তোলা অঞ্জলিকে নিয়ে উচ্ছ্বাসে ভেসেছেন ‘লক আপের’ ভক্তেরা। কঙ্গনার ‘জেলে বন্দি’ থাকতে গিয়ে একের পর এক বোমা ফাটিয়েছেন তিনি। আর চড়চড় করে বেড়েছে অঞ্জলির জনপ্রিয়তার পারদ।
কখনও স্ট্যান্ড-আপ কমেডিয়ান মুনাওয়ার ফারুকির সঙ্গে দুষ্টুমিষ্টি প্রেম তো কখনও নিজের যৌনজীবন নিয়ে খুল্লামখুল্লা ‘স্বীকারোক্তি’। অঞ্জলিকে যে অস্বীকার করার জো নেই, তা বেশ বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি।
‘লক আপে’ থাকাকালীন অঞ্জলি এক বার বলে বসেন তার রাশিয়া সফরের কথা। যা শোনার পর অনেকেরই চোখ কপালে! তার সোজাসাপ্টা কথা- ‘ডিসেম্বরে রাশিয়ায় বেড়াতে গিয়েছিলাম। তখন আমি সিঙ্গল। সেখানকার হোটেলের রিসেপশনিস্টকে দারুণ লাগত। এক শনিবারের রাতে আমি ওর থেকে পাঁচ হাজার রুবল নিয়েছিলাম।’
এখানেই থেমে থাকলে বোধ হয় অঞ্জলির রুশ সফর নিয়ে এত হইচই হত না। তবে তিনি সেখানেই থেমে থাকেননি। অঞ্জলি বলেন সেই রাতের কথা- ‘আমার শুধু টাকার দরকার ছিল। আমাকে সে অর্থ দিয়েছিল। তারপর রাতভর দু’জনে একসঙ্গে পার্টি করেছিলাম। আমার কোনো বন্ধু সে কথা জানে না। জানি না, মা-বাবা এ কথা শুনে কী বলবে!’
রুশ হোটেলকর্মীর সঙ্গে কি শুধুই পার্টি করেছিলেন অঞ্জলি? এ নিয়ে অনেকেই তাদের কল্পনার ঘোড়দৌড় শুরু করেছিলেন। আর অঞ্জলিকে নিয়ে বিতর্কের নৌকায় জোরদার হাওয়া লেগেছিল।
এতেই শেষ নয়। ‘লক আপে’ মুনাওয়ারকে দেখার পর সটান তাকে মনের কথা খুলে বলেছিলেন অঞ্জলি। দুষ্টু লোকেদের অবশ্য দাবি, এ সবই ছিল লোকদেখানো!
কী বলেছিলেন অঞ্জলি? বেশ তো দু’জনে একে অপরের চোখে চোখ, হাতে হাত রেখে ঘুরে বেড়াতেন। তারই ফাঁকে এক0পর্বে অঞ্জলি বলে ফেলেছিলেন, ‘আমি তোমাকে ভালবাসি!’ তা শুনে মুনাওয়ারের মুচকি হাসি বেরিয়েছিল। তিনিও পাল্টা বলেছিলেন, ‘তোমার জন্য মাথার ডাক্তারকে ডাকছি।’ সঙ্গে সঙ্গে অঞ্জলির জবাব ছিল, ‘হ্যাঁ, তার প্রয়োজন আছে।’
অঞ্জলি ও মুনাওয়ার- এমন ‘মিষ্টি’ জুটির প্রেম প্রেম ভাব সবে জমে উঠতে শুরু করেছে ‘লক আপে’, সে সময়ই আবার নিন্দকদের হানা। ও সব প্রেমট্রেম যে সবই মিছে, তেমন কথাও ভেসে উঠেছিল নেটমাধ্যমে।
মুনাওয়ারের প্রতি তার টান অমোঘ, এমনই দাবি করে অঞ্জলি বলেছিলেন, ‘লক আপে থাকার সময় নিজের সমস্ত আবেগ মেলে ধরেছিলাম। ওই খেলার কোনও পর্বেই মিথ্যা কথা বলিনি। মুনাওয়ারের প্রতি আমার টানও অস্বীকার করিনি। একবার ভালোবাসার কথা বলার পর পিছু হঠিনি। মিথ্যা বলে আমার কী লাভ?’
‘লক আপে’ নিজেকে মেলে ধরেছিলেন বলে দাবি করেছিলেন অঞ্জলি। তার সাফ কথা, ‘অন্যেরা আমার সম্পর্কে কে কী বলল, তাতে কিছু যায়-আসে না! আমি মনে করি, আপনি সৎ ভাবে কোনো কিছুতে বিশ্বাস করলে লোকে আপনাকে ভালোবাসবেই। এমনকি, ভুল করলেও তা মাফ করে দেবে। নিজের আবেগের প্রতি সৎ থাকাকেই গুরুত্ব দিয়েছি। লোকদেখানো কিছু করিনি।’
‘লক আপ’ থেকে বেরোনোমাত্রই কি মুনাওয়ারের প্রতি তার ‘প্রেম’ উবে গিয়েছিল? না হলে অঞ্জলি কেন তাঁর প্রেমিক আকাশ সনসমবালের সঙ্গে হামেশাই এক ছবিতে দেখা দেন? নেটমাধ্যমে এ প্রশ্নের ছড়াছড়ি। অনেকে বলেন, আকাশের সঙ্গেই নাকি তার বাগ্দান হয়ে গিয়েছে। তবে এবারও অঞ্জলির সোজাসাপ্টা মন্তব্য, ‘আমার কাছে আকাশ স্পেশাল। আমাদের বন্ধনও বেশ গাঢ়। ওর জন্য আমার হৃদয়ে জায়গা রয়েছে বটে। তবে বাগ্দান হয়নি।’
বর্তমানে নেটমাধ্যমে ভাইরাল একটি এমএমএস নিয়ে অঞ্জলির দিকে আঙুল তুলেছেন অনেকে। এক জোড়া যুগলের শরীরী মিলনের দৃশ্য ভেসে উঠেছে তাতে। অনেকের দাবি, ওই ভিডিও ক্লিপের তরুণী আসলে অঞ্জলি।
সত্যি নাকি? ঝাঁকে ঝাঁকে প্রশ্নের তির এগিয়ে আসতেই ভেঙে পড়েছেন অঞ্জলি। ইউটিউবার সিদ্ধার্থ কাননের কাছে সাক্ষাৎকারে কেঁদেকেটে অঞ্জলির দাবি, তার নামে কুৎসা রটানো হচ্ছে। মজা লুটতেই এভাবে তার সম্মান নিয়ে ছিনিমিনি খেলা চলছে। সত্য-মিথ্যার বিচারের রায় আসার আগেই অবশ্য আবারও বিতর্কের ঘোলাজলে ডুবে গিয়েছেন অঞ্জলি!
উল্লেখ্য, বলিউডের জনপ্রিয় পরিচালক একতা কাপুরের একটি রিয়েলিটি শো এর মাধ্যমেই মুলত অঞ্জলির পথচলা শুরু হয়েছিল এরপর আর পেছেনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। তবে বেশিরভাগ সময় তাকে মিউজিক ভিডিওতে দেখা যায় এবং তার ব্যক্তিগত কর্মকান্ড নিয়ে বেশি আলোচনা চলে