দ্যা গ্রেটেষ্ট শো অন আর্থ। এই বাক্যটি একমাত্র ব্যবহার হয়ে থাকে অলিম্পিক গেমসের আসরেই। বিশ্বের প্রায় সব ধরনের প্রতিযোগীতামুলক খেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে এই আসরে। আর অলিম্পিকের আসর মানেই যৌনতার ছড়াছড়ি। প্রতি আসরেই অলিম্পিক ভিলেজে ফ্রিতে কনডম বিলি করা হয়। এবারও সেটা করা হয়েছে। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে এবারের অলিম্পিক যেন সব দিক থেকেই আলাদা। দর্শক নেই। একাধিক বড় খেলোয়াড় নাম সরিয়ে নিচ্ছেন করোনার ভয়ে। এমন অবস্থায় আরও একটু আলাদা হল এবারের টোকিও অলিম্পিক। অ্যাথলেটদের যৌন সম্পর্ক স্থাপন আটকাতে স্থাপন করা হয়েছে ‘অ্যান্টি সেক্স বেড’!
অলিম্পিকে অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়দের জন্য যে খাটের ব্যবস্থা করা হয়েছে, তার নামই দেওয়া হয়েছে, ‘অ্যান্টি সেক্স বেড’। এমন অদ্ভুত নামের পেছনের কারণটাও বেশ মজার। খাটগুলো এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যে, একজনের বেশি মানুষ খাটে উঠলে তা ভেঙে যাবে! কার্ডবোর্ড দিয়ে বানানো এই খাটগুলো তৈরির উপকরণ আবারও অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে। কোনো অ্যাথলেট যাতে সবার অগোচরে বাইরের কারও সঙ্গে যৌন সম্পর্কে মিলিত হতে না পারে- সে জন্যই এই ব্যবস্থা।
অলম্পিকে ঢোকার সময়ই দেয়া হয়ে থাকে ক্যালেন্ডার। তবে এবারেও ঘটেনি তার ব্যতিক্রম। কিন্তু ব্যবহারে আনা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। বলা হয়েছে এবার খেলোয়াড়দের বলা হচ্ছে কনডমগুলো ব্যবহার না করে স্মারক হিসেবে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। করোনার পাশাপাশি এইচআইভি মোকাবেলায় সতর্কতা বৃদ্ধি করার কথাও বলা হচ্ছে। করোনার জন্য একাধিক বিধিনিষেধের মধ্যে এবারের অলিম্পিকে নতুন সংযোজন এই ‘অ্যান্টি সেক্স বেড’। কারণ বাইরের মানুষদের সঙ্গে মেলামেশা বন্ধ থাকলেও গেম ভিলেজে হানা দিয়েছে করোনাভাইরাস।