Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Countrywide / অর্থমন্ত্রী বললেন চিন্তার কিছু নেই, তার কথায় বাংলার মানুষ পেল স্বস্তি, জানা গেল কিসের কথা বললেন

অর্থমন্ত্রী বললেন চিন্তার কিছু নেই, তার কথায় বাংলার মানুষ পেল স্বস্তি, জানা গেল কিসের কথা বললেন

আ হ ম মুস্তফা কামাল হলেন গণপ্রজাতন্ত্রী সরকারের মাননীয় অর্থমন্ত্রী। এই সম্মানীয় পদে আসীন হবার পর থেকে তিনি অতি সততা ও নিষ্ঠার সহিত তার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। আ হ ম মুস্তফা কামাল পূর্বে পরিকল্পনা মন্ত্রী হিসেবেও আডয়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের একজন প্রখ্যাত রাজনীতিবীদ। সম্প্রতি তিনি তার এক বক্তব্যে বলেছেন রিজার্ভ ও মূল্যস্ফীতি নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, এই মুহূর্তে আইএমএফের (আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল) কোনো ঋণের প্রয়োজন নেই। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও মূল্যস্ফীতি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশে বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতির হার এখনও ৫ দশমিক ৯ শতাংশ। আর যদি বলা হয় রিজার্ভ নেই, তবুও তা ৪০ বিলিয়ন ডলার।

গতকাল সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে অনলাইন ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, ঋণ নেওয়ার জন্য আইএমএফের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রস্তাব পাঠানো হয়নি। তারা আমাদের কোনো আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেয়নি। আমাদের দেশের জনগণের স্বার্থবিরোধী কোনো প্রকল্প বা অর্থায়নে আমরা যাব না। আমি নিজের স্বার্থের জন্য কিছু করব না। তিনি বলেন, আইএমএফ বাংলাদেশে আসছে, এটি একটি পরামর্শক কমিটি। তারা উপদেশ, আমরা তাদের উপদেশ। তারা কি জন্য আমাদের কাছে আসছেন সে বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কিছু বলেনি। বাংলাদেশের রিজার্ভ নিয়ে আইএমএফের মতানৈক্য প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, রিজার্ভের বিষয়টি বিভিন্ন দেশ যেভাবে করে, যেভাবে হিসাব করে, আমরাও সেভাবেই করেছি। আমি সেভাবেই হিসাব করব। তিনি প্রশ্ন করেন, “আইএমএফ আমাদের যে পরিমাণ অর্থ সাহায্য করেছে, তারা কি সে পরিমাণ অর্থ পায়নি?” তারা বলতে পারবে না যে তারা একদিন পরে তাদের টাকা পরিশোধ করেছে। আমরা বারবার তাদের আশ্বস্ত করেছি যে তারা যদি আমাদের ঋণ দেয় তবে তাদের কখনই তা ক্ষমা করতে হবে না। আমাদের ঋণ পরিশোধের ক্ষমতা ভালো। আমরা সবসময় অর্থ প্রদান করেছি। সরকারকে আইএমএফ মোটা অঙ্কের ঋণের প্রস্তাব দিয়েছে, এই ঋণ নেবেন কি নেবেন না জানতে চাইলে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, এলে জানা যাবে। এগুলোর কোনটিই অজ্ঞতার বিষয় নয়। প্রয়োজনে আমরা ঋণ নেব। কিন্তু এই মুহূর্তে আমাদের কোনো দরকার নেই। অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, আইএমএফ মাঝে মধ্যে আসে। তারা যাই হোক না কেন পরামর্শের যত্ন নেয়। তাদের পরামর্শ সরকারের জন্য নানাভাবে কাজে লাগে। সব সময়ই কিছু সংস্কারমুখী প্রকল্পের কথা হয়। বাজেটে অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, সেগুলো পূরণ করতে পারলে দেশের জন্য মঙ্গল। আমরা অবশ্যই এই অফারগুলি গ্রহণ করব। বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্যের সমালোচনা করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘মুদ্রাস্ফীতি কখনো দৈনিক বা সাপ্তাহিক ভিত্তিতে গণনা করা হয় না, এমনকি মাসিকও নয়। বার্ষিক গড় সর্বদা গণনা করা হয়। যদি আমরা বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতি হিসাব করি তবে আমাদের হার এখনও৫ দশমিক ৯ শতাংশ। তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ২০০৯ সালে যখন আমরা সরকার গঠন করি তখন তা ছিল ১২ দশমিক ৩ শতাংশ। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও আইএমএফের মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমাদের রিজার্ভের হিসাব আমরাও তাই করব। ২০০৯ সালে যখন আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে তখন রিজার্ভ ছিল ৭ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার। পরে তা বেড়ে দাঁড়ায়। ৪৮ বিলিয়ন ডলার।অর্থমন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বের অর্থনীতিতে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে।বিভিন্ন দেশে যা ঘটছে তা আমরা অবগত রাখছি এবং তা সামলানোর চেষ্টা করছি।

প্রসঙ্গত, অর্থমন্ত্রী অর্থমন্ত্রানালয়ের দায়িত্ব নেবার পরে অর্থ খাতে এসেছে অনেক উন্নতি ও সমৃদ্ধি। তিনি তার বিচক্ষণতা ও দক্ষটা দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে নিয়ে গেছেন সফলতার চূড়ায়। দেশের মানুষের প্রত্যাশা করছেন যে অর্থনৈতিক অবস্থার আসন্ন দিনগুলোতে আরো উন্নয়ন ঘটবে।

About Shafique Hasan

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *