মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উত্পাদন খরচ প্রত্যাশার চেয়ে বেশি। দেশের অর্থনীতি নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, চলতি বছরের মাঝামাঝি পর যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার কমাতে পারে। এ প্রত্যাশায় মার্কিন ডলারের মূল্য কমেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। তাতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে বিদায়ী জানুয়ারিতে উৎপাদন খরচ গত ৫ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে উঠেছে। তবে খচরা বিক্রি বিগত ১০ মাসে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমেছে। এর মানে ভোক্তা ব্যয় হ্রাস পেয়েছে। দেশটির শ্রম অধিদপ্তরের সবশেষ প্রকাশিত উপাত্তে এ চিত্র দেখা গেছে। গত ডিসেম্বর ও নভেম্বরেও ভোক্তা ব্যয় নিম্নমুখী ছিল।
এ প্রেক্ষাপটে শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ডলার সূচক নিম্নমুখী হয়েছে শূন্য দশমিক ০২ শতাংশ। বর্তমানের তা ১০৪ দশমিক ২৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। তবে দৈনিক হিসাবে কমলেও সাপ্তাহিক ভিত্তিতে বেড়েছে শূন্য দশমিক ১২ শতাংশ। আগামী দিনেও যা ঊর্ধ্বমুখী ধারায় থাকতে পারে।
এ অবস্থায় আলোচ্য কার্যদিবসে ইউরোর দর বৃদ্ধি পেয়েছে শূন্য দশমিক ০৩ শতাংশ। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) মূল মুদ্রাটির দাম স্থির হয়েছে ১ দশমিক ০৭৭৪ ডলারে। অন্যান্য মুদ্রা যেমন- ব্রিটিশ পাউন্ড, চীনা ইউয়ানের বিপরীতেও গ্রিনব্যাকের পতন হয়েছে। তবে জাপানি মুদ্রার বিপরীতে গ্রিনব্যাকের উত্থান ঘটেছে শূন্য দশমিক ০২ শতাংশ। প্রতিটির মূল্য নিষ্পত্তি হয়েছে ১৫০ দশমিক ২১ ইয়েনে।
টরন্টো-ভিত্তিক সিআইবিসি ক্যাপিটাল মার্কেটসের ফরেক্স স্ট্র্যাটেজির উত্তর আমেরিকার প্রধান বিপন রাই বলেছেন, মার্কিন অর্থনীতি নিয়ে কিছু প্রশ্ন রয়ে গেছে। পুরোপুরি ঘুরেছে নাকি শক্তিশালী হয়েছে তা বলা যাবে না। এই ভয় ডলারের অবমূল্যায়ন ঘটায়।