অভিষেক ছিলেন ভারতীয় বাংলা সিনেমার একজন জনপ্রিয় অভিনেতা। তিনি তার অভিনয় জীবনের প্রথম থেকেই বাংলার মানুষকে উপহার দিয়ে এসেছেন একের পর এক মুগ্ধতা ছড়ানো সিনেমা। জানা যায় যে, তিনি তার জীবনে ‘অপরাধ’ সিনেমাতে আভিনয় করলেও তার মুক্তি পাওয়া প্রথম চলচ্চিত্র হলো ‘পথভোলা’। অভিষেক শুধু ভারতেই নয় তিনি বাংলাদেশের ( Bangladesh ) মানুষের মনও জয় করে নিয়েছিলেন। শ্রীলেখা মিত্রও ভারতীয় বাংলা সিনেমার একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী। সম্প্রতি তিনি বলেছেন, অভিষেকের প্রয়ান নিয়ে যেন সার্কাস করা না হয়।
তিনি অভিনেত্রী, তিনি ইউ/’টিউবার, সোশ্যাল মিডিয়ার একজন ইনফ্লুয়েন্সার। ( Influencer. ) কথা হচ্ছে অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রকে ( Srilekha Mitra ) নিয়ে। তিনি একটা পোস্ট করলে ভাইরাল হয় ঝড়ের গতিতে। নিত্যদিন শ্রীলেখা মিত্র থাকেন সংবাদ শিরোনামে। যার কারণে ইন্ডাস্ট্রির অনেকের আলোচনার বিষয় হয়েছেন। অন্তত এমনটাই জানিয়েছেন অভিনেত্রী।
তবে শ্রীলেখা মিত্র যাই করেন তাই যেন হেডলাইন। তবে বিতর্কেও পড়তে হয়েছে তাকে। স্পষ্টবক্তা বলে বেশ দুর্নামও রয়েছে। নিজেকে ভীষণ রকম ‘কেবলা’-ই বলে থাকেন শ্রীলেখা। তার ভক্ত-অনুরাগী যেমন রয়েছেন, তাকে নিয়ে নি’ন্দা মন্দ করার লোকের সংখ্যা কম নয়। তবে তিনি সদা পজিটিভ।
এদিকে টালিউডের এক সময়ের জনপ্রিয় নায়ক অভিষেক চ্যাটার্জি প্রয়াত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার ( Thursday ) (২৪ মার্চ ( March )) ভোরে ( morning ) নিজ বাড়িতেই শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। প্রয়ানকালে অভিনেতার বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর।
অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের ( Chatterjee ) প্রয়ানের পর তার বাড়িতে সংবাদমাধ্যম, ইন্ডাস্ট্রির লোকজনের ভিড় অস্বস্তিতে ফেলেছে তাকে। এ নিয়ে ঐদিনই বিকেলে ( afternoon ) ইউ/টিউব চ্যানেলে আগে বলা কথা আরও একবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করলেন তিনি। সেখানে তিনি বলেন ‘আমি যদি সাবিকে ( Sabike ) ছেড়ে চিরদিনের মতো চলে যাই, তাহলে আমায় নিয়ে যেন ইন্ডাস্ট্রি আর মিডিয়ায় সার্কাস না করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বেঁচে থাকতে কেউ খোঁজ নেবেন না। প্রয়ানের পর সবাই জড়ো হবেন। এটা আমি চাই না। বেঁচে থাকতে আমার সব খারাপ, আর প্রয়ানের পরে সব ভাল-এটাও কাম্য নয়।’
তাই শ্রীলেখা তার নিজের কিছু ইচ্ছে প্রকাশ করেন, তিনি শান্তিতে, নীরবে চলে যাবেন। এখনও তার বাড়িতে ইন্ডাস্ট্রির লোকজনের ভিড় নেই। তখনও যেন না থাকে। এই ইচ্ছে তিনি মেয়েকে, তার ঘনিষ্ঠদের জানিয়ে যাবেন। আলাদা করে ইচ্ছাপত্রে লিখেও যাবেন। তার শেষযাত্রায় সামিল হবেন শুধু তার আত্মীয়, কাছের মানুষেরা। এর বাইরে আর কেউ তার প্রয়ানের পর যেন না আসে।
প্রসঙ্গত, ‘পথভোলা’ সিনেমার মধ্য দিয়ে বড় পর্দায় পথচলা শুরু করেন অভিষেক চ্যাটার্জি। নব্বইয়ের দশকে তিনি একাধিক হিট ছবিতে অভিনয় করেছেন। একক নায়ক হিসেবে কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করলেও পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। সম্প্রতি একাধিক ধারাবাহিকেও অভিনয় করতে দেখা গেছে তাকে।
আমাদের সবাইকে একদিন প্রয়ানের স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। মানুষ আসলে প্রয়াত হলে কিছুই থাকেনা। অভিষেকের মত একজন গুণী অভিনেতাকে হারিয়ে বাংলার চলচিত্র এখন নিশঃতব্ধ প্রায়। তার এরকম হঠাৎ চলে যাওয়াকে কেউ মেনে নিতে পারছেন না। তিনি ছিলেন সবার ভালোবাসার পাত্র। বাংলা চলচিত্রে তার অবদানের কথা বাংলার মানুষ চিরদিন মনে রাখবে। তিনি ভারতীয় বাংলার ( Indian Bengal ) চলচিত্র জগতে চির উজ্জল নক্ষত্র হয়ে থাকবেন তার অসাধারণ কৃত্বিত্বের জন্যে।
খবর আরটিভির ( RTV )