নব্বই দশকের ভারতীয় ( Indian ) বাংলা চলচ্চিত্র জগতের অন্যতম ব্যস্ত অভিনেতা ছিলেন অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। এ সময় অভিষেকের নাম প্রসেনজিৎ ( Prosenjit ) চট্টোপাধ্যায় ও তাপস পালের ( Tapas Pal ) মতন প্রথম সারিতেই থাকতো। উৎপল দত্ত ( Utpal Dutt ) এবং সন্ধ্যা রায়ের মত অভিনেতাদের সাথে পর্দায় তাকে অভিনয় করতে দেখা যেত। শতাব্দী রায় ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের ( Rituparna Sengupta ) মতন সমসাময়িক অভিনয় শিল্পীদের মধ্যে প্রথম সারির অভিনেত্রীদের সাথেও তিনি অসংখ্য কাজের মধ্যে দিয়ে ব্যস্ত সময় পার করতেন। অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি।
অভিষেকের আকস্মিক প্রয়াণে এ বার টালিপাড়ায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়ানে দর্শকদের মনে তীব্র আঘা/ত করেছে। এ বিষয় নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে অনেক তারকা সম্পর্কে। টালিপাড়ায় শোনা যাচ্ছে, ইন্ডাস্ট্রি থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার পিছনে ছিলেন প্রসেনজিৎ ( Prosenjit ) চট্টোপাধ্যায় ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। যদিও অভিষেকের প্রয়ানের পর প্রসেনজিৎ ( Prosenjit ) তাকে ‘বন্ধু’ বলে ডাকেন। ঋতুপর্ণা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলল, লোকটা অনেক রাগ করে চলে গেল।
টলিউড প্রযোজক রানা সরকার ও অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে পোস্ট করেছেন। তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তারা বেঁচে থাকতে কোন খোঁজ খবর করেননি, প্রয়ানের পর ন্যাকা কান্না করছেন।
অভিষেক নিয়ে মুখ খুললেন আরেক প্রবীণ অভিনেতা বিপ্লব চ্যাটার্জি। বিপ্লব জানান, এক সময় তারা একসঙ্গে অনেক ছবিতে কাজ করেছেন। বিপ্লব তার স্মৃতিচারণে বলেছেন যে অভিষেক সবাইকে নিয়ে হৈচৈ করতে পছন্দ করতেন। যখন তারা আউটডোরে কাজ করতে যেতেন তখন অনেক মজা করতেন অভিষেক সে বিষয়ে
অভিনেতাকে কথা বলতে শোনা যায়। তারপর বললেন অভিষেক বড় পর্দা থেকে দূরে সরে যাওয়ায় তার মনে একটা বড় আঘা/ত করে।
তিনি বলেন, ছোটপর্দায় কাজ করা নিয়ে অভিষেকর মনে একপ্রকার ক্ষোভের জন্ম নেয়। সে জন্যই এই অভিনেতা মনে মনে গুমরেও থাকত। এই কারনে হয়ত সে অংসখ্য অভিমান নিয়ে আমাদের সকলকে ছেড়ে চলে গেছেন।
বিপ্লব আরও বলেন, তিনি অভিষেককে বলতেন নিজের শরীরের যত্ন নিতে, নিজের দিকে খেয়াল রাখতে। কিন্তু কারও কথায় পাত্তা দেননি অভিষেক। প্রসঙ্গত, বুধবার ( Wednesday ) প্রয়ানেরর দিন অসুস্থ শরীর নিয়ে ‘স্মার্ট জোড়ি’-র সেটে গিয়েছিলেন অভিষেক। এরপর অবস্থার অবনতি হলে তাকে বাড়িতে পাঠানো হয়। বাড়িতে এসে তিনি স্যালাইন ব/মি করেন, কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি হতে চাননি। পরে বেলা ১টার দিকে হৃদরোগে আক্রা/ন্ত হয়ে তিনি প্রয়াত হন।
নব্বই দশকে বাংলা চলচ্চিত্র জগতের অন্যতম ব্যস্ত অভিনেতা ছিলেন অভিষেক। এক সময় প্রসেনজিৎ ( Prosenjit ) চট্টোপাধ্যায়, তাপস পাল ও তাঁর নাম এক নাগাড়ে উঠে আসত। উৎপল দত্ত ( Utpal Dutt ) এবং সন্ধ্যা রায়ের মতো প্রতিভাবান অভিনেতাদের সঙ্গে পর্দায় দেখা গেছে তাকে। শতাব্দী রায় ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের ( Rituparna Sengupta ) মতো সমসাময়িক প্রথম সারির অভিনেত্রীদের সাথেও ঘ”নিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন।
“এটা তখন আমাদের নজরে আসে। সে কারণেই অভিষেক মনের মধ্যে অহংকার করতেন। হয়তো তিনি আমাদের সবাইকে গর্বিত করে চলে গেছেন।’
প্রসঙ্গত, অভিষেক চট্টোপাধ্যায় প্রয়াত হওয়ার পর টলিউড পাড়ায় এক ধরনের ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে অভিনয় শিল্পীদের মধ্যে। তাকে নিয়ে একধরনের রাজনীতি করা হয়েছে বড় পর্দা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য। তার প্রয়ানের পর তার সহ অভিনেতরা বড় পর্দার থেকে তাকে সরানোর জন্য প্রসেনজিৎ ( Prosenjit ) ও ঋতুপর্ণার ( Rituparna ) হাত ছিল বলে দাবি করেন এবং বলেন তার প্রয়ানে ওনারা দায়ী।