ভারতীয় ( Indian ) বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয়তার শীর্ষ অভিনেত্রীদের তালিকায় শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় ( Sravanti Chatterjee ) একজন সফল অভিনেত্রী। চলচ্চিত্র অঙ্গনে ‘মায়ার বাঁধন’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যেমে তার প্রথম অভিনয় জগতে প্রবেশ করেন। শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় ( Sravanti Chatterjee ) তার কর্মজীবনের চেয়ে ব্যক্তিগত জীবনেই বেশি সমালোচনার পড়েছেন। কখনো তার বিয়ে নিয়ে, আবার কখনো ডিভোর্সকে কেন্দ্র করে, কখনো আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানাবিধ ছবি পোস্ট করা প্রসঙ্গকে ঘিরে তবে এবার একটি প্রানীর বিষয়ে হাজতবাসের মত একটি সমালোচনার সংবাদ ঘুরপাক খাচ্ছে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে।
কলকাতার অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চ্যাটার্জির ( Sravanti Chatterjee ) বিয়ে ও বিচ্ছেদ নিয়ে আলোচনা পরেন। এছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি শেয়ার করে প্রায়ই ট্রোলের শিকার হতে দেখা যায় তাকে। তবে এ ব্যাপারে তিনি মোটেও বিষণ্ণ নন। নিয়মিত পোস্ট করে থাকেন। কিন্তু এবার মামলা হল এই অভিনেত্রীর নামে। শুধু তাই নয়, অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার ৭ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
একাধিক ভারতীয় মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৫ জানুয়ারি শ্রাবন্তী সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন। সেই ছবিতে, অভিনেত্রী তার হাতে একটি বেজিকে ধরে আছেন। বেজিটার গলায় ফিতে ছিল এবং একটি মোটা শিকল দিয়ে বাঁধা ছিল। ছবির ক্যাপশনে শ্রাবন্তী লিখেছেন, ‘হঠাৎ আমার ছোট্ট বন্ধুর সঙ্গে দেখা হয়ে গেল। সেই ছবিকে কেন্দ্র করে আইনি বিপাকে জড়িয়ে পড়লেন এই অভিনেত্রী। শ্রাবন্তীর বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইন ১৯৭২ এর ধারা ৯, ১১, ৩৯, ৪৮এ, ৪৯ এবং ৪৯ এর অধীনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে৷
অভিনেত্রীকে শীঘ্রই কলকাতার সল্টলেকে বন্যপ্রাণী অপরাধ নিয়ন্ত্রণ সেল এবং ডেটা ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের সামনে হাজির হতে হবে৷ তবে এ বিষয়ে কিছু বলতে চাননি শ্রাবন্তী। তার আইনজীবী এস কে হাবিবউদ্দিন জানান, সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করার আগে পুরো বিষয়টি তারা জেনে নেবেন। এর পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ভারতীয় বন বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, “বন্যপ্রাণীকে এভাবে বন্দী করে রাখা শুধু অপরাধ নয়, শ্রাবন্তীর মতো তারকা এমন কাজ করলে অনেকেই মুগ্ধ হবেন।
তাই আমরা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ বিশাল নামের একজন লিখেছেন, ‘আপনি কি বেঁধে বলছেন পশুদের ভালোবাসেন?’ আরেকজন লিখেছেন, ‘এটা একটা বা’চ্চার গলায় এত বড় চেন; বুঝলাম না। হ্যাশট্যাগে আবার পশুদের ভালোবাসা? বাহ! দারুণ নাটক।’ একজন কান্নার ইমোজি দিয়ে লেখেন, গলায় এমন শিকল দিয়ে বন্ধুত্ব?’ আরেকজন লিখেছেন, ‘দোস্ত, তুমিও কি গলায় চেন পরেছো?’ শ্রাবন্তীর ইনস্টাগ্রাম কমেন্ট বক্স এমন ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্যে পূর্ণ। নেটিজেনদের দ্বারা আক্রা’ন্ত হলেও এ নিয়ে মুখ খোলেননি শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি।
উল্লেখ্য, বন্য প্রানীকে এভাবে গলায় শিকল বন্দি করে আটকে রাখা হয়েছে তা সত্যিই খুবই উদ্বেগজনক এবং বন্য প্রানী সংরক্ষনের একটি আইনও প্রচলন রয়েছে। তাই কেউ বন্য প্রানী সংরক্ষনের মনোভাব প্রকাশ করলে তাকে সেই আইন মেনেই সংরক্ষন করতে হবে। তবে এইভাবে বেঁধে রাখা একধরনের অমানবিক কর্মকান্ডের শামিল। তাছাড়া শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় একজন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব হওয়ায় তার এই ধরনের কার্যকলাপ সমাজের অন্যদের উৎসাহিত করতে পারে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।